বর্ধমানের খাগড়াগড়ের মাঠপাড়ায় জাল নোট ছাপার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম গোপাল সিং, দীপঙ্কর চক্রবর্তী ও বিপুল সরকার। শুধু ৫০০ টাকার জাল নোট ছাপাই নয়, তারা নকল ডলার ছাপার কাজেও যুক্ত ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে। তাদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি জাল ৫০০ টাকার নোট ও ডলার ছাপার ডাইস বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এছাড়াও ২৪ টি জাল ৫০০ টাকার নোট উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে জাল নোট ছাপার কাগজ, মেশিন, রাসায়নিক।
advertisement
৫ মাস আগে একতলৃ এই বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিল গোপাল সিং। সেই বাড়ির তিনটি ঘরের একটিতে চলত জাল নোট ছাপার কাজ। এই কাজে গোপাল সঙ্গী ছিল দীপঙ্কর ও বিপুল। উত্তর ২৪ পরগনার দীপঙ্কর এই জাল নোট ছাপার কাজে মূল মাথা বলে মনে করছে পুলিশ। গোপাল ওই বাড়িতেই থাকত। দীপঙ্কর ও বিপুল যাতায়াত করত।
আরও পড়ুন: ৪৫ দিন পর বীরভূমে পা দিচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল, বাড়িতে কী ব্যবস্থা হচ্ছে জানেন?
এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, বাড়ির সদস্যরা কেউ প্রতিবেশীদের সঙ্গে মেলামেশা করত না। তাদের বাড়িতে এলাকার কারও যাতায়াত ছিল না। বাড়ির দরজা সব সময় বন্ধ থাকত। তবে বাইরে থেকে অনেকেই আসা-যাওয়া করত। বাড়িতে দুই অসুস্থ মহিলা, সেই বাড়িতে যে এমন কান্ড কারখানা চলছে তা ভেবে উঠতে পারেননি কেউই।
আরও পড়ুন: বিরাট খবর, ডিএ মামলায় রাজ্যের আবেদন খারিজ! ৩ মাসেই বকেয়া পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা
আন্তর্জাতিক জঙ্গি যোগ থেকে জাল নোটের ছাপাখানা। বারবার মারাত্মক অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে বর্ধমানের খাগড়াগড়ের নাম। প্রতিক্ষেত্রেই এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে অপরাধ সংঘটিত করেছে দুষ্কৃতীরা। জাল নোটের ছাপাখানার হদিশ মেলার পর প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও।
বাসিন্দারা বলছেন,পুলিশের নজরদারি বাড়ানো দরকার। বিভিন্ন সংস্থার কর্মী পরিচয় দিয়ে অনেকেই এখানে বাড়ি ভাড়া নিচ্ছে। আড়ালে তারা অন্য কিছু করছে কিনা সে ব্যাপারে পুলিশি নজরদারি জরুরি। পাশাপাশি তারা বলছেন,খাগড়াগড় কাণ্ডের পর তা থেকে শিক্ষা নেয়নি এলাকার বাসিন্দাদের অনেকেই। মোটা ভাড়া উপার্জনের লোভ সংবরণ করতে পারছেন না অনেকে। তাই পুলিশকে আড়ালে রেখে বাড়ি ভাড়া দিয়ে দিচ্ছেন। তার ফল ভোগ করতে হচ্ছে সকলকে।