পুরুলিয়ার কাশীপুরের প্রত্যন্ত গ্রাম শ্যামপুরে ‘অলিভ ব্রাঞ্চ ফার্ম’ তৈরি করে, সেখানে এই চাষ শুরু করেছেন তিনি। প্রথম দিকে গ্রামের অনেকেরই কৌতূহল হয়েছিল এই অলিভ চাষকে নিয়ে। কিন্তু ধীরে ধীরে যখন ছোট ছোট চারা মাটি ফুঁড়ে মাথা তুলল, তখন সেই কৌতুহল আর অবিশ্বাসের জায়গা নিল বিস্ময় আর আশার আলো।
আরও পড়ুন : ২৫ বছরেও ফিরে তাকায়নি কেউ, এই রাস্তা দিয়ে চলাচল ‘নরক যন্ত্রণা’র সমান! গ্রামবাসীরা যা করল
advertisement
পুরুলিয়ার খরাপ্রবণ, পাথুরে জমি, যাকে অনেকেই চাষের অযোগ্য বলে ধরে নিয়েছিলেন। সেখানেই আজ নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে এই চাষ। আগামীদিনে এই অলিভ চাষ যদি সফল হয়, তাহলে শুধু অভিষেকই নন, লাভবান হবেন গ্রামের আরও অনেক চাষি। শুধু অর্থনৈতিকভাবেই নয়, অলিভ চাষের প্রতি নিজেদের উপর আত্মবিশ্বাসও ফিরে পাবেন তাঁরা।
আরও পড়ুন : ঝোপের মধ্যে নড়াচড়া করছে বিশালাকৃতির ওটা কী! কাছে যেতেই জ্ঞান হারানোর অবস্থা, আসতে হল বনকর্মীদের
পুরুলিয়ার মত জায়গায় অলিভ চাষ সফল হলে, এটি হতে পারে এক যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত। অলিভ গাছ কম জলেই বাঁচে, দীর্ঘমেয়াদে ফল দেয়, এবং এর থেকে তৈরি তেল আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদাসম্পন্ন। যদিও এখনও অনেক পথ বাকি। সবে মাত্র এখন ছোট ছোট চারা মাটি ফুঁড়ে মাথা তুলতে শুরু করেছে। এরপর গাছে ফল ধরবে, তারপর সেই ফল থেকে তৈরি হবে তেল।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কিন্তু বড় কথা হল, যাত্রাটা তো শুরু হয়েছে। আর একবার যাত্রা শুরু হলে, গন্তব্যও একদিন ধরা দেবে – এই বিশ্বাসেই এখন এগিয়ে চলেছেন অভিষেক ও তাঁর সবুজ স্বপ্ন।