প্রথমে চুল্লিতে গলিয়ে নেওয়া হয় কাঁসা। তারপর অর্ধ গোলাকৃতি আকারের কাঁসার টুকরোগুলিকে হাতুড়ি দিয়ে ঠুকে কিংবা মেশিনে চাপ দিয়ে থালার আকার দেওয়া হয়। তারপর সেই ঘোলাটে থালাটি পালিশ করবার মেশিনে রেখে কুড়ে কুড়ে আনা হয় চোখ ধাঁধানো উজ্জ্বলতা। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত কাঁসার দাম তুলনামূলকভাবে কম ছিল। তখন রমরমা ছিল কাঁসার বাজারের। তারপর লক্ষণীয় মূল্য বৃদ্ধি হয় কাঁসার দামের।
advertisement
আরও পড়ুন: বাঁকুড়া মানেই শুধু মকুটমণিপুর-শুশুনিয়া নয়, এখন পর্যটনের নতুন ‘আকর্ষণ’! রইল ঠিকানা
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ধীরে ধীরে কাঁসার বাসন থেকে দূরে সরতে থাকে মানুষ। অন্নপ্রাশন এবং অনুষ্ঠানে উপহার দেওয়া ছাড়া কাঁসার বাসনের চাহিদা কমেছে। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে নবদ্বীপে যায় অধিকাংশ কাঁসার বাসন। তারপর মহাজনেরা সেখান থেকে ডিস্ট্রিবিউট করেন বাসনগুলি। বাঁকুড়ার ঐতিহ্যবাহী কেঞ্জাকুড়া গ্রামে এখনও কাঁসা শিল্প জীবিত রয়েছে পুরো দমে। ভাল গুণগত মানের কাঁসার বাসন পেয়ে যাবেন নিজের চোখের সামনে।
বাঁকুড়ার কেঞ্জাকুড়া বিখ্যাত অতিকায় জিলিপির জন্যও। এই গ্রাম বিখ্যাত মুড়ির মেলা এবং কাঁসা শিল্পের জন্যও। বাঁকুড়া এই শীতে ঘুরতে আসবেন বহু মানুষ। বাঁকুড়া শহর থেকে সর্পিল এবং গাছ গাছালিতে ঘেরা রাস্তা অনুসরণ করে যদি কেঞ্জাকুড়া আসেন তাহলে নিজে যাচাই করে কিনতে পারবেন সর্বোচ্চমানের কাঁসার বাসন।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী





