ক্লাব উদ্যোক্তাদের কথায়, ‘জ্যোতির্ময়ী মনে’ অর্থাৎ এমন এক মন, যা আলোতে ভরা, দীপ্তময় ও শুভ চিন্তায় উজ্জ্বল। আজকের সমাজে যতটা প্রয়োজন বাইরের আলো, তার চেয়েও বেশি দরকার ভিতরের আলো। মানুষের মনের অন্ধকার দূর হয়ে আলোয় ভরে উঠুক। এই বার্তাই ফুটে উঠেছে মণ্ডপের প্রতিটি কোনায় কোনায়। সম্পূর্ণ আয়রনের কাঠামোর উপর তৈরি মণ্ডপটি আলোকসজ্জায় যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে। ইন্দিরা ক্লাবে দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জা মুগ্ধ করছে দর্শনার্থীদের।
advertisement
মা কালীর প্রতিমাও এবছর ভিন্ন স্বাদের। একদিকে মাধুর্য ও শান্তি, অন্যদিকে শক্তি ও তেজের প্রতীক। দেবীর প্রতিটি অঙ্গভঙ্গিতে ফুটে উঠেছে সৃজনশীলতার ঔজ্জ্বল্য। প্রতিমার সঙ্গে মহাদেবের বিভিন্ন রূপ তুলে ধরা হয়েছে, যা আলোক থিমের সঙ্গে আধ্যাত্মিক দিকটিকেও যুক্ত করেছে। ইন্দিরা ক্লাবের পাঁচ দিনব্যাপী পুজোর বাজেট প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। উদ্যোক্তাদের মতে, বাজেটের বড় অংশ ব্যয় করা হচ্ছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সামাজিক উদ্যোগে। পুজো উপলক্ষে আয়োজিত হচ্ছে রক্তদান শিবির, দরিদ্রদের বস্ত্র বিতরণ, স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির ও পরিবেশ সচেতনতা প্রচার।
উদ্বোধনের দিন থেকেই মণ্ডপের সামনে উপচে পড়েছে ভিড়। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে দর্শনার্থীদের আনাগোনা। চারদিক আলোয় ঝলমল করছে, ঢাকের তালে তাল মেলাচ্ছে শহরবাসী, আলোর উৎসবে কাঁথি শহর যেন জেগে উঠেছে আলোয় ভরা এক স্বপ্নে।
ক্লাবের অন্যতম উদ্যোক্তা সুপ্রকাশ গিরি বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য কেবল বড়সড় মণ্ডপ তৈরি নয়, বরং এমন একটি ভাবনা তুলে ধরা যা মানুষকে ভাবাবে। ‘জ্যোতির্ময়ী মনে’ থিমের মূল বার্তা, নিজের ভিতরের আলোকে চিনে নেওয়া’।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রতি বছরই ইন্দিরা ক্লাব তাদের অভিনব ভাবনা, শৈল্পিক মণ্ডপ ও সামাজিক বার্তার মাধ্যমে কাঁথির আলোর উৎসবে আলোড়ন সৃষ্টি করে। এবছরও তার ব্যতিক্রম নয়। আয়রনের কাঠামোয় তৈরি এই আলোকিত মণ্ডপ যেন শহরবাসীর কাছে কেবল এক উৎসব নয়, বরং এক আত্মিক অনুভূতি হয়ে উঠেছে।