ইতিহাস বলছে, নবদ্বীপ থেকে আগত তন্ত্রসাধক রত্নগর্ভ সার্বভৌম আগমবাগীশ শান্তিপুরে এসে এই দেবীর প্রতিষ্ঠা করেন। বৈষ্ণব চূড়ামণি অদ্বৈতাচার্যের নাতি মথুরেশ গোস্বামীর জামাতা ছিলেন তিনি। শ্বশুরের সহায়তায় শান্তিপুরে বসবাস শুরু করেন এবং তন্ত্রসাধনায় ব্রতী হয়ে মহাকালীর প্রতিষ্ঠা করেন। পরে সেই দেবীই পরিচিত হন আগমেশ্বরী নামে, আগমবাগীশের নামানুসারে।
আরও পড়ুন : জল নিকাশির হাইড্রেন নিজের ‘দায়িত্ব ভুলে’ ডুবিয়ে দিচ্ছিল এলাকা! রায়দঘিতে এবার তৈরি ‘মাস্টার প্ল্যান
advertisement
শান্তিপুরের সংস্কৃতি ও ধর্মজীবনে এই আগমেশ্বরী মায়ের পুজো শ্যাম ও শ্যামার ঐক্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে। এখানে তন্ত্র ও ভক্তি, দুই ধারার সংমিশ্রণে গড়ে উঠেছে অনন্য এক ঐতিহ্য। প্রায় ২০ ফুট উচ্চতার মাতৃমূর্তি আজও ভক্তদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। বলা হয়, আজ ভারতে যত দক্ষিণা কালীর পুজো হয়, তার অধিকাংশই শান্তিপুরের এই আগমেশ্বরী মাতার প্রতিরূপ। উল্লেখ্য, অমাবস্যা লাগলেই শুরু হয় মূর্তিতে রং। পুরোহিত পুজোয় বসার আগের মুহূর্তেই করা হয় দেবীর চক্ষুদান।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রতি বছর দীপান্বিতা অমাবস্যার রাতে হাজার হাজার ভক্ত সারারাত জেগে থাকেন মায়ের পুজো দেখতে। স্থানীয় মানুষ নিজের ভক্তি ও দান দিয়ে পুজোর সমস্ত ব্যয় বহন করেন। শুধু দীপান্বিতা নয়, প্রতি অমাবস্যা তিথিতেও মাতার চরণপীঠ পুজিত হয় বিপুল জনসমাগমে। শান্তিপুরের মানুষ বিশ্বাস করেন, আগমেশ্বরী মায়ের থান শুধু একটি মন্দির নয়, এটি এক পবিত্র পীঠস্থান, যেখানে যুগ যুগ ধরে মিলনের, ভক্তির ও আধ্যাত্মিকতার আলো জ্বলে উঠেছে নিরবচ্ছিন্নভাবে।