বঙ্গোপসাগরে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ফলে তিনটি ট্রলার-সহ ৪৯ জন মৎস্যজীবীর এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ মেলেনি। মৎস্যজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সহকারী মৎস্য অধিকর্তা ও জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়।পরে মৎস্যজীবী সংগঠন এবং জেলা মৎস্য দফতরের পক্ষ থেকে উপকূলরক্ষী বাহিনীর সঙ্গেও যোগাযোগ করে বিশদে জানানো হয়েছে। ট্রলারের খোঁজে একটি জাহাজ নিয়ে তল্লাশি অভিযানে নেমেছে উপকূলরক্ষী বাহিনী।
advertisement
মৎস্যজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকেও নিখোঁজ তিন ট্রলারের খোঁজে বেশ কয়েকটি ট্রলার গভীর সমুদ্রে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জেরে সমুদ্র উত্তাল থাকায় তল্লাশি অভিযানও ব্যহত হচ্ছে। মৎস্যজীবী সংগঠন সূত্রের খবর, এফবি নীলকন্ঠ ট্রলারে ১৬ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। বাকি এফবি শ্রীহরি এবং এফবি মা রিয়া নামক দুটি ট্রলারে মিলিয়ে ৩৩ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। কিন্তু বাজ পড়ে ওয়ারলেস নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পাশাপাশি ট্রলার তিনটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ায় ওই তিন ট্রলারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
শেষবারের যখন ওদের সঙ্গে যোগাযোগ করা গিয়েছিল তখন ট্রলারগুলি বকখালি থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে জম্বুদ্বীপের কাছাকাছি ছিল বলে জানা গিয়েছে। তারপর থেকে আর কোনও ট্রলারের সঙ্গে কোনওরকমভাবে যোগাযোগ করতে পারেনি ট্রলার মালিক-সহ মৎস্যজীবী সংগঠনের কর্মকর্তারা। নিখোঁজ মৎস্যজীবীরা সকলেই কাকদ্বীপ, নামখানা এবং ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। ট্রলার-সহ মৎস্যজীবীদের নিখোঁজের ঘটনায় উদ্বিগ্ন তাদের পরিবার পরিজনেরা।
নবাব মল্লিক