Knowledge Story: বলুন তো, কোন প্রাণীর রক্তের দাম সবচেয়ে বেশি? ৯৯% মানুষই উত্তর দিতে গিয়ে ডাহা ফেল! চমকে দেবে উত্তর, গ্যারান্টি...!
- Published by:Riya Das
- news18 bangla
Last Updated:
Knowledge Story: পৃথিবীতে এমন অনেক প্রাণী আছে যাদের সম্পর্কে মানুষের কাছে তথ্য অনেক কম আছে। কিন্তু অনেক সময় মানুষের জীবন এই প্রাণীর উপর নির্ভর করে। এমন একটি প্রাণী আছে যার রক্ত এই পৃথিবীতে সবচেয়ে দামি। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন৷
পৃথিবীতে এমন অনেক প্রাণী আছে যাদের সম্পর্কে মানুষের কাছে তথ্য অনেক কম আছে। কিন্তু অনেক সময় মানুষের জীবন এই প্রাণীর উপর নির্ভর করে। এমন একটি প্রাণী আছে যার রক্ত এই পৃথিবীতে সবচেয়ে দামি। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন৷
advertisement
এটি এমন একটি প্রাণী, যার ১ লিটার রক্তের দামে একটি গাড়ি আপনি কিনে নিতে পারবেন! শুনলে অবাক হলেও এঠাই সত্যি৷ এই প্রাণীটির রক্ত এতটাই দামী যে এটি সংরক্ষণ করা হয় এবং চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়।
advertisement
ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম এবং মেরিল্যান্ড ওয়েবসাইট অনুসারে, হর্সশু কাঁকড়া একটি ৪৫০ মিলিয়ন বছর বয়সী প্রাণী যা ডাইনোসরের চেয়েও পুরনো বলে মনে করা হয়। এই কাঁকড়াগুলি (বিশ্বের সবচেয়ে দামি কাঁকড়া) দেখতে অন্যান্য কাঁকড়ার মতো। তাদের খোলস আছে এবং শরীরের একটি লেজও রয়েছে। এই কাঁকড়ার রক্ত নীল। এই নীল রঙটি তাদের রক্তে উপস্থিত হেমোসায়ানিনের কারণে হয়।
advertisement
এই রক্তকে নীল সোনাও বলা হয়। স্টাডি ডটকম ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, এই কাঁকড়ার ১ লিটার রক্তের দাম ১৫ হাজার ডলার অর্থাৎ প্রায় ১২ লাখ টাকা। অর্থাৎ এর মাধ্যমে আপনি সহজেই একটি গাড়ি কিনতে পারবেন।
advertisement
অনেকেরই প্রশ্ন হল এই প্রাণীর রক্তের এত দাম কেন? আসলে এই রক্তের ঔষধিগুণ অনেক বেশি। মেরিল্যান্ড ওয়েবসাইট অনুসারে, এই জীবের রক্তে একটি প্রোটিন রয়েছে যার নাম লিমুলাস অ্যামিবোসাইট লাইসেট (এলএএল)। এটি ড্রাগ এবং মেডিক্যাল ডিভাইস নির্মাতারা তাদের পণ্য পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করে।
advertisement
তারা তাদের পণ্যগুলিতে এন্ডোটক্সিনের উপস্থিতি পরীক্ষা করতে এই রক্ত ব্যবহার করে। এই ব্যাকটেরিয়া পদার্থ মানুষের মধ্যে জ্বর সৃষ্টি করতে পারে এবং মানুষের জন্য মারাত্মকও হতে পারে। ফাইন ডাইনিং লাভার্স ওয়েবসাইট অনুসারে, এই প্রাণীগুলি আমেরিকার আটলান্টিক মহাসাগরের উপকূলে পাওয়া যায়। এই প্রাণীদের রক্তক্ষরণ প্রক্রিয়ার পরে ১০ থেকে ৩০ শতাংশ কাঁকড়া আর বেঁচে থাকে না।