বর্তমানে জেলার অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু এই পার্কটি বছরে প্রায় দু’লক্ষ পর্যটক এখানে বেড়াতে আসেন। কাউন্টারে টিকিটের জন্য এতদিন লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হত। এবার থেকে টিকিট মিলবে অনলাইনেই। আগের মত কাউন্টারেও টিকিট পাওয়া যাবে। পশ্চিমবঙ্গ চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই ব্যবস্থায় পর্যটকদের আর দীর্ঘক্ষণ বাইরে অপেক্ষা করতে হবে না।
advertisement
আরও পড়ুন: বদলে যাবে ঝাড়গ্রাম ঘুরতে যাওয়ার মজা! এবার কোটি কোটি টাকা খরচ করে এইসব বানাচ্ছে প্রশাসন
প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে শহরের ধবনী বিটে এই পার্কটি গড়ে উঠেছে। আগে পার্কটি ‘ডিয়ার পার্ক’ নামে পরিচিত ছিল। রাজ্যে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় এলে পার্কের সম্প্রসারণে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়। বিভিন্ন প্রজাতির পশুপাখি আনা শুরু হয়। পার্কের সৌন্দর্যায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও করা হয়। চিড়িয়াখানায় কৃত্রিম প্রজননের উপর জোর দেওয়া হয়। কৃত্রিম পরিবেশে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন প্রজাতির পশুপাখির জন্ম দিয়ে সাফল্য এসেছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পর্যটকদের জন্য ২০২৩ সালে সেলফি জোন গড়ে তোলা হয়েছে। পার্কের ভিতর সৃষ্ঠিশ্রী বিপণন কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। জেলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হস্তশিল্পের জিনিসপত্র পাওয়া যাচ্ছে। পার্কের ভিতর পর্যটকদের বসার জায়গা করা হয়েছে। বর্তমানে পার্কে চিতল হরিণ, সম্বর হরিণ, স্বর্ণমৃগ, নানা প্রজাতির পাখি, কচ্ছপ, গোসাপ, এমুপাখি, সজারু, নীলগাই, ভালুক, হায়না, নেকড়ে, সাপ, গন্ধগোকুল, বাঁদর, হনুমান, মদনটাক পাখি, বনমুরগি, ময়ূর, নানা ধরনের পাখি ও চিতাবাঘ রয়েছে। কয়েক মাস আগে ব্রাজিল ও আফ্রিকা থেকে আনা টিয়া দেখতে পর্যটকরা ভিড় জমাচ্ছেন। উত্তরবঙ্গের জলদাপাড়া অভয়ারণ্য থেকে আনা চিতাবাঘ পলাশ ও বাঁকুড়া থেকে উদ্ধার করা ভালুক বল্লু পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, এখন অনলাইন টিকিট কেটে পর্যটকরা ঢুকতে পারছেন। পাশাপাশি কাউন্টার থেকে মুদ্রিত টিকিটও দেওয়া হচ্ছে।
তন্ময় নন্দী