এক যুগান্তকারী মুহূর্তে যা অতীত ও ভবিষ্যতের মধ্যে শক্তিশালী সেতুবন্ধন স্থাপন করেছে, আইআইটি খড়গপুরের পরিচালক অধ্যাপক সুমন চক্রবর্তী সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় গুগলের মাউন্টেন ভিউ সদর দফতরে গুগল ও অ্যালফাবেটের সিইও সুন্দর পিচাইয়ের সঙ্গে দেখা করেছেন। এই সাক্ষাৎ আইআইটি খড়গপুরের শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনে তার বিশ্বব্যাপী নেতৃত্বকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করছে।
advertisement
আরও পড়ুন: রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর জীবনাবসান, চলে গেলেন এক সময়ের দাপুটে CPIM নেতা
অধ্যাপক চক্রবর্তীর সঙ্গে ছিলেন বিশিষ্ট প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদল, ছিলেন ডঃ অশোক দে সরকার, অর্জুন মালহোত্রা, রয় ডি সিলভা এবং শৈলেন্দ্র কুমার। সুন্দর পিচাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাতে প্রতিষ্ঠান কৌশলগত, দূরদর্শী এবং প্রভাব-ভিত্তিক, যেখানে বৈশ্বিক প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরা হয়। অত্যাধুনিক শিক্ষা ও গবেষণা উদ্যোগের নেতৃত্ব দেওয়া, প্রযুক্তিগত নেতৃত্বকে কাজে লাগানো এবং স্থানীয়, জাতীয় ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের জন্য পরিমাপযোগ্য সমাধান তৈরি করার উপর গুরুত্ব বহন করবে এই সাক্ষাৎ।
শুধু তাই নয় ডিরেক্টার সহ আইআইটি খড়গপুরের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সুন্দর পিচাইয়ের এই সাক্ষাতে পেশাগত আলোচনার সঙ্গে গভীর ব্যক্তিগত ও স্মৃতিময় মুহূর্তগুলো তুলে ধরেন সুন্দর। পিচাই আইআইটি খড়গপুরে তাঁর শিক্ষাজীবনের কথা স্মরণ করেন এবং তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি পিচাইয়ের অভিজ্ঞতার স্মৃতিচারণও করেন, যা প্রতিষ্ঠান এবং এর প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যেকার চিরন্তন বন্ধনকে পুনরুজ্জীবিত করে। শুধু তাই নয় আগামী বছর আইআইটি খড়গপুরের ৭৫ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে আসার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন। আইআইটি খড়গপুরের বৈশ্বিক সম্প্রসারণমূলক উদ্যোগগুলোকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি গ্লোবাল আউটরিচ সেন্টার স্থাপনও অন্তর্ভুক্ত, যার লক্ষ্য হল আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, প্রায়োগিক গবেষণা, উদ্যোক্তা এবং প্রযুক্তি-চালিত সামাজিক প্রভাবকে শক্তিশালী করা।
এই উপলক্ষে অধ্যাপক সুমন চক্রবর্তী বলেন যে, “আইআইটি খড়গপুরের ৭৫ বছরের ঐতিহ্য বৈশ্বিক উদ্ভাবন এবং উদ্দেশ্য-চালিত প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে মিলিত হয়—যা গুগল-এর প্রধান হিসেবে সুন্দর পিচাইয়ের নেতৃত্ব এবং প্রভাবে সবচেয়ে শক্তিশালীভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।” স্বাভাবিকভাবে সুন্দর পিচাইয়ের সঙ্গে আইআইটি খড়গপুরের ডিরেক্টর এবং প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ ও যোগাযোগ নিঃসন্দেহে আগামীতে প্রযুক্তি ও বিশ্বক্ষেত্রে গবেষণার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে তা বলার অপেক্ষার রাখে না।






