প্রসঙ্গত, সিবিআই আধিকারিকরা বাড়িতে চড়াও হলে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা শুক্রবার বিকেলে আচমকাই সিবিআই আধিকারিকদের কাছ থেকে তাঁর দু’টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে পাশের পুকুরে ফেলে দেন। পাঁকে ভরা সেই পুকুর থেকে মোবাইল তুলতে গিয়ে ৪০ ডিগ্রির গরমে নাজেহাল হয়ে পড়ে সিবিআই। পাঁকে লোক নামিয়ে, শ্রমিক এনে, মাটি কাটার মেশিন আনিয়ে, ট্রলির ব্যবস্থা করে দুটি মোবাইল উদ্ধার করতে শেষমেশ সক্ষম হন তাঁরা।
advertisement
রবিবার সকালে স্থানীয় শ্রমিকদের দিয়ে পুকুরে মোবাইলের খোঁজ শুরু হয়। সাড়ে সাতটার মধ্যে হদিশ মেলে একটি মোবাইলের। একদম সিল করা অবস্থায়। কিন্তু তারপর দিনভর তল্লাশি চালিয়েও হদিশ মিলছিল না দ্বিতীয় মোবাইলের। সূত্রের খবর জিজ্ঞাসাবাদে বিধায়ক স্বীকার করেছেন, একটি মোবাইলের সিম খুলে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। তারপরে রবিবার বিকেলে ঘণ্টা প্রতি ৮০০ টাকা খরচ করে এদিন জেসিবি মেশিন আনা হয়। দুই ঘণ্টা চলে বুলডোজার। খরচ হয় ১৬০০ টাকা।
সঙ্গে সঙ্গে ২টি ট্রাক্টর ভাড়া করে সিবিআই। সাড়ে ৩টে থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত পাঁক তুলে ফেলা হয় পাশের মাঠে। সেখানে ৭ জন শ্রমিক দিয়ে মোবাইলের খোঁজ চলে। ৫০টাকা প্রতি টাক্টর মাটি ফেলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু রবিবার দিনের আলো ফুরোতেই তল্লাশিতে ইতি টানতে হয়।
অন্যদিকে সোমবার ২০জন শ্রমিক নিয়ে আসা হয় ৫০০ টাকা পিছু হারে। সোমবার খড়জুনার এক শ্রমিক মোবাইল ফোন ফিরে পান। মোট ২৮জন শ্রমিক কাজ করে সিবিআইয়ের কথা অনুযায়ী মোবাইল খোঁজার জন্য। সিবিআই কথা দিয়েছিল, যা খরচ হবে সবটা তারাই মেটাবে। সেই ভরসায়, তিনটি এলাকা থেকে ২৮ জন শ্রমিক, বাকি যন্ত্রপাতি, পেট্রল সব জোগাড় করতে খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা।
কৌশিক অধিকারী