প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও প্রাচুর্যে ভরা জঙ্গলমহল। পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে জঙ্গলমহলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে শহুরে মানুষ এক চিলতে শান্তি খুঁজতে ছুটে আসেন এই জঙ্গলমহলে। কিন্তু এখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি মিলবে হাতের নানান ধরনের কারুকার্য। বেলপাহাড়ির শিমুলপাল গ্ৰামের শিল্পী নব মিস্ত্রি পাহাড় থেকে পাথর সংগ্রহ করে তৈরি করেন নানা ধরনের দেব দেবীর মূর্তি। বেলপাহাড়ির খাঁদারানী ড্যামে গেলেই দেখা মিলবে এই পাথর শিল্পীর।
advertisement
আরও পড়ুন : ধুনির ঘরেই আজও পূজিত হন মা দুর্গা! জমিদারবাড়ির জৌলুস নেই, কিন্তু গন্ধ মিশে আছে ‘পথের পাঁচালী’র
একদিনে প্রায় তিন থেকে চারটি পাথরের মূর্তি তৈরি করেন এই শিল্পী। বয়সের ভারেও হাতের কাজে যেন তরুণের ছাপ। তিন বছর আগে হারিয়েছেন স্ত্রীকে। স্ত্রীর মৃত্যুর আগে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে নিজের বানানো মূর্তি গুলি বেচতেন। কিন্তু এখন আর যান না। রুজিরুটির তাড়নায় প্রতিদিন সকাল হলেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন এই বৃদ্ধ। বাড়ি থেকে পাঁচ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে পৌঁছান খাঁদারানী ড্যামে। এখানে বসেই বানান পাথরের নানা কারুকার্য।
আরও পড়ুন : ‘এই জিনিস’ ছাড়া বাঙালির পুজো শুরুই হয় না! দোকানে উপচে পড়ছে ভিড়, আপনার কাছে আছে তো?
সব দিন হয়ত সমান ভাবে বিক্রি হয়না। আবার কোনও উইকএন্ডে পর্যটকের সংখ্যা বাড়লে হাসি ফেরে ওই বৃদ্ধের মুখে। এক একটি পাথরের মূর্তি বিক্রি করেন প্রায় তিনশো থেকে চারশো টাকায়। রাজ্য এবং জেলা থেকেও পেয়েছেন অনেক সম্মাননা। কিন্তু আজ অভাবের তাড়নায় এসে বসেছেন পথে। নিজের শিল্পকর্মের প্রদর্শন করেছেন কলকাতার প্রদর্শনীতেও।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বেলপাহাড়ি পর্যটন শিল্পে অনেক উন্নত হলেও, এখানকার অনেকেই দিন গুজরান করেন এভাবে। জঙ্গলমহল পর্যটন শিল্পে উন্নত হয়েছে, কিন্তু এখানকার পাথর শিল্পের হাল ফেরেনি। শরীর সঙ্গ না দিলেও নিজের খরচ চালাতে তিনি কাজ করেন। কারণ তাঁকে সাহায্য করার আর কেউ নেই। তাই তিনি নানান মূর্তি বানিয়ে তা বিক্রি করে নিজের খরচ চালান।