অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) সৈয়দ মহাম্মদ মামদাদুল হাসান বলেন, ‘ছাত্রের কাছে থাকা পিস্তলে কার্তুজ ছিল। তাঁর কাছে কোথা থেকে এই পিস্তল এল খতিয়ে দেখা হচ্ছে’।
আরও পড়ুনঃ পুজোয় এবার সত্যিকারের ‘আঁধার বিনাশ’! দুঃস্থদের মুখে ফুটবে হাসি, বড় চমক ‘এই’ পুজো কমিটির
জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় পিরিয়ডে ইতিহাসের ক্লাস চলাকালীন ঘটনার সূত্রপাত। পিছনের বেঞ্চে বসে ওই ছাত্রটি সামনের বেঞ্চের এক ছাত্রকে বিরক্ত করায় শিক্ষক তাঁকে বকাবকি করেন। পরবর্তীতে শিক্ষক মহাশয় কিছু কাজ দেন যা সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের লিখে দেখাতে বলেন। ছেলেটি শিক্ষক মহাশয়ের কথায় আমল দেয়নি। সে খাতাতেও কিছু লেখেনি। রাগে শিক্ষক তাঁকে থাপ্পড় মারেন। ক্লাস শেষ হতেই প্রধান শিক্ষককে নালিশ জানাতে যায় প্রহৃত ছাত্রটি। সেখানে ইতিহাসের শিক্ষককে দেখে সে ‘অভিভাবককে ডাকতে যাচ্ছি’ বলে শাসানি দিয়ে চলে যায়। পরে প্রধান শিক্ষকও বেরিয়ে যান।
advertisement
এদিকে টিফিনের সময় প্রধান শিক্ষকের ঘরে বসেছিলেন ইতিহাসের শিক্ষক। তখনই বন্দুক নিয়ে ওই ছাত্র সেখানে হাজির হয়। সহপাঠীরা তাঁকে বাইরে নিয়ে যায়। কিন্তু ওই শিক্ষক যেখানে ভাড়া থাকেন, সেখানেও পৌঁছে যায় ছাত্রটি। পরে সিভিক কর্মীরা তাঁকে ধরে স্কুলে আনেন, আসে পুলিশ। ইতিহাসের শিক্ষক অভিযোগ জানালে পুলিশ ছাত্রটিকে আটক করে।
আরও পড়ুনঃ গভীর রাতে আলো নিভিয়ে তাণ্ডব শুরু! নদিয়ায় যা হল…! আতঙ্কের পরিবেশ এলাকায়
ছাত্রটির বাবা বলেন, ‘ঘটনা শুনে ঝাড়খণ্ড থেকে তড়িঘড়ি ফিরতে হল। আমার ছেলে এমন ঘটনা ঘটাবে আমি কল্পনা করতে পারিনি’। অনেকেই মনে করছেন, পড়াশোনায় দুর্বল ছাত্রদের কথার গুরুত্ব না দেওয়া, তাঁদের প্রতি শিক্ষকদের যত্নের অভাব বহু ক্ষেত্রে এমন বেপরোয়া মনোভাবের জন্ম দেয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ঝাড়গ্রাম ডিপিএসসির চেয়ারম্যান জয়দীপ হোতা বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক যদি ওই ছাত্রকে ডেকে পাঠাতেন বা একটু গুরত্ব দিতেন, তাহলে হয়ত এমনটা ঘটত না’। জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, আজ ছাত্রটিকে বিশেষ আদালতে পাঠানো হতে পারে।