কৃত্তিকা মুখার্জি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানার অন্তর্গত বহড়ু মাঝের পাড়ার বাসিন্দা। ছোটবেলা থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি নাচের প্রতি আগ্রহ ছিল তার। পড়াশোনার পাশাপাশি এলাকায় নানান অনুষ্ঠানে নাচের মধ্য দিয়ে সুনাম অর্জন করতে থাকে কৃত্তিকা। তার স্বপ্ন ছিল টেলিভিশনের জনপ্রিয় রিয়েলিটি শোতে পারফর্ম করার। একটার পর একটা অডিশন দিয়েও সুযোগ না পেয়ে ভেঙে পড়েনি কৃত্তিকা।
advertisement
ক্রমাগত অনুশীলন আর কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো-র অডিশন দিয়ে মঞ্চে ওঠার সুযোগ পায় কৃত্তিকা। তারপর থেকেই স্বপ্ন পূরণের চেষ্টায় দিনরাত অনুশীলনের মধ্য দিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে মঞ্চ কাঁপানো নাচে বিচারকদের মন জয় করে একটার পর একটা সাফল্য পেতে থাকে কৃত্তিকা। বিচারক আসনে ছিলেন টলিউডের অভিনেতা অভিনেত্রীরা। কৃত্তিকার নাচের ভাবনা, নিপুনতা, বিচারকদের নজর কেড়ে নেয় এবং কৃত্তিকা ক্রমশ এগিয়ে যেতে থাকে।
আরও পড়ুন : আলোর খেলায় জীবন্ত হবে মহাভারত! ২৯ বছরে এমন থিম প্রথম! না দেখলে আফসোস করতে হবে
সিনিয়র গ্রুপে কৃত্তিকা সহ মোট পাঁচজন নিত্য শিল্পীকে নিয়ে সেমিফাইনাল হয়। তার মধ্য থেকে বিচারকদের বিচারে কৃত্তিকা সহ তিনজন গ্র্যান্ড ফিনালে সুযোগ পায়। আর তারপরই ৩১ অগস্ট রবিবার কৃত্তিকার জীবনে আসে সেই মহেন্দ্রক্ষণ। মঞ্চ কাঁপানো শব্দ আর আলোর রোশনাই এর মধ্যে বিচারকদের মন জয় করতে সক্ষম হয় কৃত্তিকা। তার নিকটতম দুই প্রতিযোগীকে পিছনে ফেলে সর্বোচ্চ সম্মান ছিনিয়ে নিয়ে কৃত্তিকা সার্থক করল তার স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মেয়ের এই সাফল্যের কথা জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন কৃত্তিকার মা কাঞ্চন মুখার্জি। সর্বোচ্চ সম্মান পাওয়ার পর কৃত্তিকা জানায়, প্রায় ছয় মাস একটার পর একটা এপিসোড অতিক্রম করে এই গ্রান্ড ফিনালে চলার পথ ছিল দুর্গম। মা-বাবা, দিদি এবং প্রশিক্ষকরা পাশে না থাকলে এই জয় আমার পক্ষে সম্ভব হত না।
এলাকায় নাচে আগ্রহী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যও বিশেষ বার্তা দিয়েছে কৃত্তিকা। এই সাফল্যের পর থেমে থাকতে রাজি নয় বহরুর কৃত্তিকা। অনুশীলন বাড়িয়ে আগামী দিনে আরও বড় জায়গায় পৌঁছতে চায় সে।