Durga Puja 2025 : আলোর খেলায় জীবন্ত হবে মহাভারত! ২৯ বছরে এমন থিম প্রথম! না দেখলে আফসোস করতে হবে
- Published by:Nayan Ghosh
- hyperlocal
- Reported by:Madan Maity
Last Updated:
কাঁথির দুর্গাপুজো ভিন্ন মাত্রা পেতে চলেছে। পুজোর থিমে মহাভারতের বিশ্বরূপ দর্শন। এই 'ডিজিটাল' মণ্ডপ মিস করবেন না!
এবার কাঁথির দুর্গাপুজো ভিন্ন মাত্রা পেতে চলেছে। কুমারপুর ওয়েলফেয়ার ক্লাব তাদের ২৯তম বর্ষে পা রাখল এক অভিনব থিম নিয়ে। এবছর তাদের থিম মহাভারতের বিশ্বরূপ দর্শন। মণ্ডপে প্রবেশ করলেই দর্শনার্থীরা যেন হারিয়ে যাবেন মহাজাগতিক জগতে। আলো-আঁধারি, ডিজিটাল প্রোজেকশন ও সৃজনশীল আর্ট ইনস্টলেশনের মাধ্যমে প্রতিফলিত হবে অসীমতার প্রতীক। কৃষ্ণের বহু রূপ, বহু মুখ ও বহু হাতের প্রতীকী চিত্র ফুটে উঠবে সাজসজ্জায়। মূল প্রতিমা দুর্গা থাকলেও থিমটি প্রকাশ করবে মহাশক্তির সর্বব্যাপী উপস্থিতি। (তথ্য ও ছবি : মদন মাইতি)
advertisement
দর্শনার্থীরা যখন মণ্ডপে প্রবেশ করবেন, তখন তাঁদের চোখে ধরা দেবে ভিন্ন এক দুনিয়া। প্রতিটি কোণ থেকে অনুভূত হবে কৃষ্ণের বিশ্বরূপের বহুমুখী রূপকল্প। ডিজিটাল আলোকসজ্জা ও ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট দর্শকদের যেন নিয়ে যাবে অন্য জগতে। শিল্পীদের সৃজনশীলতায় তৈরি ইনস্টলেশনগুলি কৃষ্ণের শক্তি ও বিশ্বসৃষ্টির অনন্ততা বোঝাবে। মা দুর্গার পিছনে থাকবে সেই থিমেটিক আভাস, যা তাঁকে মহাশক্তির রূপে প্রতিষ্ঠিত করবে। (তথ্য ও ছবি : মদন মাইতি)
advertisement
এবারের প্যান্ডেলে শুধুমাত্র শৈল্পিক সজ্জা নয়, দর্শনের গভীরতা থাকবে। মহাভারতের বিশ্বরূপ দর্শনের মধ্য দিয়ে বোঝানো হবে-সৃষ্টি, স্থিতি ও লয়ের চিরন্তন ধারণা। কৃষ্ণের অসংখ্য রূপ যেন এখানে মিলেমিশে যাবে মা দুর্গার মহাশক্তির রূপের সঙ্গে। শিল্পীরা কাঠ, কাপড়, আলো ও ডিজিটাল প্রযুক্তির মিশ্রণে এমন এক আবহ তৈরি করছেন, যেখানে মানুষ নিজেকে খুঁজে পাবে মহাবিশ্বের অন্তর্ভুক্ত এক ক্ষুদ্র সত্তা হিসেবে। (তথ্য ও ছবি : মদন মাইতি)
advertisement
কুমারপুর ওয়েলফেয়ার ক্লাবের এই অভিনব পুজো এ বছর পা দিল ২৯তম বর্ষে। দীর্ঘ তিন দশকের কাছাকাছি পথচলায় এবার নতুন মাত্রা যোগ হল বিশ্বরূপ দর্শনের থিমে। খুঁটি পুজোর মধ্য দিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। সদস্যরা জানিয়েছেন, প্রতিবছর তাঁরা দর্শকদের জন্য অভিনব কিছু করার চেষ্টা করেন। তবে এবারের থিম মানুষকে শুধু রূপকথার নয়, দর্শনের গভীর জগতে নিয়ে যাবে। (তথ্য ও ছবি : মদন মাইতি)
advertisement
প্যাণ্ডেলের কাঠামো, আলোর পরিকল্পনা, ডিজিটাল ভিজ্যুয়ালাইজেশন, সবকিছুর প্রস্তুতি এখন জোরকদমে চলছে। শিল্পীরা প্রতিটি অংশে আলাদা আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি যোগ করছেন। দর্শকদের চমক দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের চিন্তার জগতে আলোড়ন তুলতে চাইছেন আয়োজকেরা। স্থানীয় বাসিন্দারা ইতিমধ্যেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবারের থিম ঘিরে। তাঁদের প্রত্যাশা, এই থিম কাঁথি শহরের দুর্গোৎসবে নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। (তথ্য ও ছবি : মদন মাইতি)
advertisement
পুজো কমিটির সম্পাদক অরুনাভ দে বলেন, “আমরা চাইছি দর্শনার্থীরা শুধু পুজো দেখবেন না, তাঁরা অনুভব করবেন এক মহাজাগতিক অভিজ্ঞতা। মহাভারতের বিশ্বরূপ দর্শন শুধু কৃষ্ণের কাহিনি নয়, বরং মহাশক্তির সর্বব্যাপী উপস্থিতির প্রতীক। মা দুর্গার মাধ্যমে আমরা সেই শক্তিকেই তুলে ধরতে চাইছি। আশা করি আমাদের এই প্রয়াস সকলের মনে ছাপ ফেলবে।” (তথ্য ও ছবি : মদন মাইতি)