বুদবুদ সংলগ্ন মানকর চট্টোপাধ্যায় পরিবারের জগদ্ধাত্রী পুজো। এখানে সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমী তিথির পুজো হয় এক আসনে। একই দিনে। অষ্টমী এবং নবমীতে হয় বলিদান। দেবীকে খিচুড়ি ভোগ নিবেদন করা হয়। সঙ্গে ভোগে দেওয়া হয় বাড়ির পুকুরের মাছ এবং অষ্টমীর বলিদানের মাংস। কিন্তু এই পুজোয় ঢাকঢোলের বাজনা করার ক্ষেত্রে রয়েছে নিষেধ। পুজো শেষে ভোগ খাওয়ানো হয় বহু মানুষকে।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘আমাকে বাঁচতে দিন’, কাতর আর্জি খারিজ! বিচারকের এক নির্দেশেই মাথায় হাত জ্যোতিপ্রিয়র
শুধুমাত্র পারিবারিকভাবেই এই পুজোর আয়োজন করেন চট্টোপাধ্যায় পরিবারের সদস্যরা। প্রথমে তালপাতার ছাউনি দেওয়া মন্দিরে পুজো শুরু হয়েছিল। পরে ছিল মাটির মন্দির। সেই মন্দির আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যাওয়ায়, বর্তমানে দেবীর জন্য নতুন মন্দির তৈরি হচ্ছে। এখানে দশমী তিথিতে দেবী নিরঞ্জনের ক্ষেত্রে কোনওরকম বার অথবা তিথি মেনে চলা হয় না।
আরও পড়ুন: মহেশতলায় রাতের অন্ধকারে দোকান ঘর ঢালাই এক ব্যক্তির! রাতে কেন? কারণ শুনলে আঁতকে উঠবেন
পরিবারের সদস্যরা বলেন, ১২০০ বছর ধরে এই পুজো চলছে। একই শিল্পীর পরিবার এই পুজোয় প্রতিমা তৈরি করে চলেছেন। আগে তাদের বসবাস ছিল কাটোয়ার কাঁঠালিপাড়া নামের এক জায়গায়। সেখান থেকে তারা উঠে এসে এখানে বসবাস শুরু করেন। আর সেখান থেকেই নিয়ে আসেন মৃৎশিল্পীর পরিবারকে। সেই পরিবারের বংশধররা এখনও চট্টোপাধ্যায় পরিবারের জগদ্ধাত্রী প্রতিমা তৈরি করেন। বহু ইতিহাস দেখা এই পুজোয় আসেনি আধুনিকতার চাকচিক্য। কিন্তু শুরুর দিনে যে নিয়ম ছিল, সেই নিয়ম এখনও বয়ে নিয়ে চলেছেন চট্টোপাধ্যায় পরিবারের বংশধরেরা।
—- নয়ন ঘোষ