রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আগেই আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হয়েছিল। এবার সেই ওয়ার্ড খোলা হল কাটোয়া ও কালনা মহকুমা হাসপাতালেও। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কাটোয়া ও কালনা মহকুমা হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে দশটি করে বেড রাখা হয়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামও হাসপাতালগুলিতে পাঠানো হচ্ছে। কেউ আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের সেখানে রেখে চিকিৎসা করা যাবে। কোন হাসপাতালে কোন চিকিৎসক আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসা করবেন তারও তালিকা তৈরি করা হয়েছে।’
advertisement
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে,করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক মাস্ক আনানো হচ্ছে। জেলায় আড়াইশোটি এন নাইনটি ফাইভ মাস্ক রয়েছে। আরও তিনশো পঞ্চাশটি এই মাস্ক আসছে। ‘পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট’ বা পিপিই অর্থাৎ করোনা চিকিৎসার বিশেষ ধরনের গাউন নব্বইটি রয়েছে। আরও পঞ্চাশটি আসছে। থ্রি লেয়ার মাস্ক রয়েছে তুলনামূলক কম। এই মাস্ক রয়েছে চারশোটি। আরও চল্লিশ হাজার মাস্ক আনানোর ব্যবস্থা করছে প্রশাসন। বিশেষ ধরনের থার্মোমিটার নেই। সেই ধরনের পঞ্চাশটি থার্মোমিটার আনাচ্ছে প্রশাসন। বাসিন্দাদের করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করা বা তার উপসর্গগুলি জানাতে প্রচুর ফ্লেক্স লিফলেট ছড়ানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই জেলা জুড়ে ফ্লেক্স ও লিফলেটের মাধ্যমে বাসিন্দাদের সচেতন করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
জেলাশাসক বলেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সামান্য জ্বর হলেও করোনার সংক্রমণ ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। করোনা আক্রমণ দেখা দিয়েছে এমন দেশগুলি থেকে যারা আসছেন তাঁদের চোদ্দ দিন আলাদা ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে। অন্যদের সঙ্গে মেলামেশা করতে নিষেধ করা হচ্ছে।’
Saradindu Ghosh
