২০০০ সাল থেকে শুরু হওয়া এই পুজো আজ এলাকার সার্বজনীন উৎসব হিসেবে পরিচিত। উদ্যোক্তাদের দাবি, প্রায় আশিটি পরিবারের আর্থিক সহায়তায় এই পুজোর খরচ বহন করা হয়। বাইরে থেকে কোনও চাঁদা তোলা হয় না। তবে রাজ্য সরকারের অনুদান পাওয়া যায়।
advertisement
পুজোর মূল আকর্ষণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ষষ্ঠীর দিন বর্ণাঢ্য উদ্বোধনের পাশাপাশি বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি দিয়ে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। সপ্তমীতে থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা মূলক নাটিকা, তারপর স্থানীয় শিল্পীদের নাচ, আবৃত্তি ও গান। অষ্টমীতে পরিবেশিত হবে অরিজিৎ মুখার্জির কীর্তন সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠান। নবমীর দিন সুর সঙ্গম অর্কেস্ট্রার মনোজ্ঞ সঙ্গীত সন্ধ্যা, আর দশমীতে জমে উঠবে দেবলীনা ভাদুড়ি ও ইপ্সিতা পারিকরের গানে। এছাড়াও একাদশীতে থাকছে কলকাতার জনপ্রিয় যাত্রাপালা।
পুজো উদ্যোক্তারা জানান, প্রতি বছর প্রায় দেড় থেকে দুই লক্ষ দর্শনার্থী এই পুজো মণ্ডপে ভিড় জমান। এবছরেও সমান সাড়া মিলবে বলেই আশা। বৃষ্টির আশঙ্কা থাকলেও মাঠে মাটি ও বালি ফেলে জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য থাকছে কমিটির প্রায় ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক এবং সিভিক ভলান্টিয়ার টিম।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রশাসনের তরফেও সহযোগিতার আশ্বাস মিলেছে। উদ্যোক্তাদের কথায়, ‘আমাদের পুজোতে কখনও কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। এবছরও নিরাপদ, আনন্দঘন পরিবেশে পুজো উদযাপিত হবে’।এভাবেই থিম, প্রতিমা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সমাহারে সিমলাপালের দুর্গোৎসব রূপ নিচ্ছে জেলার অন্যতম আকর্ষণে।