বন্দি নয়, মুক্ত করুণ! বাঁচার অধিকারের লড়াই 'এই' মণ্ডপের আনাচেকানাচে, 'ইচ্ছেডানা'য় ভর করে অভিনব উদ্যোগ

সকাল হলেই পাখির কিচিরমিচির সুরের ডাকে ঘুম ভাঙা, বা গরমকালে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় একটু জিরিয়ে নিতে দাঁড়ালেন গাছ তলায় তখন পাখির কিচিরমিচির সুরে মন শান্ত হয়ে যায়। তাই একপ্রকার পাখি সকলেই ভালবাসেন। সে টিয়া পাখি হোক বা বসন্তের কোকিল হোক বা অন্যান্য পাখি হোক। (ছবি ও তথ্য- রিন্টু পাঁজা)

পাখি যেমন কিছিরমিচির সুরের ডাক দেয় ঠিক তেমনই প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে। তাই পাখিদের খাঁচা মুক্ত করতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে আসানসোলের এই পুজো কমিটি। পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার অন্তর্গত বার্নপুর নেতাজী ক্লাব।

এবার তাদের ৫৭'তম বর্ষের পুজো। প্রায় ১০ লক্ষ টাকা বাজেটে পুজো মণ্ডপ ‘ইচ্ছেডানা’। যেটা খাঁচা মুক্ত পাখি থিমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। পুজো মণ্ডপে প্রবেশ করলে দেখতে পাবেন সমগ্র পুজো মণ্ডপটি বাঁশ, হাঁড়ি, খড়, পাখা, তালপাতা প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

এছাড়াও দর্শনার্থীরা শুনতে পাবেন বিভিন্ন পাখির মিষ্টি শব্দ। বাহারি আলোকসজ্জা দিয়ে একটি এমন পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে যা দেখতে গেলে আপনার মন ও প্রাণ জুড়িয়ে যাবে। স্বাভাবিকভাবেই এই থিমের মণ্ডপ দেখতে ভিড় জমিয়েছেন দর্শনার্থীরা।

এই থিমের মাধ্যমে সমাজের সাধারণ মানুষকে পুজো কমিটি বার্তা দিতে চেয়েছেন, যে পাখিদের জন্য যেন সাধারণ মানুষ সচেতন হয়। তাদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে গাছপালা লাগায়। তাহলে পাখিগুলি ফিরে পাবে পর্যাপ্ত বাসস্থান।

বার্নপুর নেতাজি স্পোর্টিং ক্লাবের সদস্য মুন ব্যানার্জী বলেন, 'ইচ্ছেডানা মানে হচ্ছে সকলেরই বাঁচার অধিকার রয়েছে। বিশেষ করে পাখিদের বেঁচে থাকার অধিকার নিয়ে এই থিম ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আমরা খুব ভাল সাড়া পাচ্ছি রীতিমত দর্শনার্থীরা আসছেন ও ভিড় জমাচ্ছেন মণ্ডপে'। (ছবি ও তথ্য- রিন্টু পাঁজা)