সেই সমস্ত ব্যক্তিরা আবার ভেবে বসেন নিশ্চয়ই নাবালিকা ভাতারের আলিনগরের কথা বলছে। তাই তাঁরা তাঁকে কাটোয়া-বর্ধমান ডাউন ট্রেনে চাপিয়ে দেন। যাত্রাপথে নাবালিকা বুঝতে পারে যে সে আবার কোনও ভুল ট্রেনে চেপে পড়েছে, এই রাস্তা তার বাড়ি যাওয়ার রাস্তা নয়। ফলে সে মাঝ পথে বলগোনা স্টেশনে নেমে পড়ে। কিন্তু ততক্ষণে প্রায় মাঝরাত।
advertisement
বজরঙ্গী ভাইজানের ভূমিকায় পুলিশ। প্রায় তিনদিন পর বাড়ি ফিরল মুন্নি থুরি খুশি। খুঁজে পেল পরিবার।ভয় পেয়ে যায় নাবালিকা। রাতেরবেলায় একাকী নাবালিকাকে স্টেশনে দেখতে পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন খবর দেন পুলিশকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ নাবালিকাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
‘টিকিটটা দেখি?’ করতে করতে ১২৪৯ কেস! শিয়ালদহ টিকিট চেকিং অভিযানে TTE-রা মোট কত টাকা আদায় করলেন?
পরে পুলিশ জানতে পারে গ্রামের নাম বিভ্রাটে নাবালিকা বাড়ি তো পৌঁছাতেই পারেনি বরং প্রায় তিনদিন ধরে কেবল রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে হয় তাকে। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে আসলে নাবালিকার বাড়ি ফারাক্কার আলিনগর গ্রামে। সে তার মাসির বাড়ি খালতীপুর বেড়াতে গিয়েছিল।
বুধবার সেখান থেকে মেসোমশাই তাকে বাড়ি যাওয়ার জন্য বাসে তুলে দিয়ে আসেন। কিন্তু সে বাসে না চেপে ভুল ট্রেনে চেপে পড়ে ফারাক্কা যাওয়ার উদ্দেশ্যে। এরপর ট্রেনে ঘুমিয়ে গেলে যখন তার ঘুম ভাঙে সে দেখে ফারাক্কা তো দূরের কথা বাড়ি থেকে প্রায় ১৬০ কিমি দূরে কাটোয়া স্টেশনে চলে এসেছে।
কাটোয়ায় আবার ফারাক্কার আলিনগর না বলে আলিনগর বলায় নাম বিভ্রাটের জেরে তাকে কাটোয়া-বর্ধমান ডাউন ট্রেনে তুলে দিলে সে এসে পৌঁছায় বলগোনায়। এর পরই ভাতার থানার ওসি বুদ্ধদেব ঢুলি সংশ্লিষ্ট থানার সাথে যোগাযোগ করে নাবালিকার পরিবারকে খবর দেয়। শুক্রবার পরিবার এলে তাদের হাতে নাবালিকাকে তুলে দেয় ভাতার থানার পুলিশ। সমগ্র পরিবারে তখন খুশির হাওয়া।
জেলা পুলিশ সুপার সায়ক দাস জানান, ভাতার থানার কাছে খবর আসতেই আমরা নাবালিকাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। সেই সময় সে কিছুটা ভয় পেয়েছিল। আমাদের মহিলা অফিসাররা অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে নাবালিকার সাহস যোগায়। এরপর নাবালিকার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে পারাটা আমাদের কাছে অত্যন্ত আনন্দের।
সায়নী সরকার