ব্যাগে ছয় কেজি মতো আর্সেনিক সালফায়েড ও পটাশিয়াম ক্লোরাইডের মত রাসায়নিক পদার্থ ছিল। বোমার শক্তি বৃদ্ধিতে এই দুই রাসায়নিকের প্রয়োজন হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়। পুলিশের অনুমান এজাবুল নদীয়ার কোথাও পাচার করার জন্য বাইরের রাজ্য থেকে মশলা এনেছিল। একটি খুনের মামলায় অভিযুক্ত এজাবুলকে পুলিশ খুঁজছিল। এজাবুলের এক সঙ্গী রবিউল শেখের খোঁজ করছে পুলিশ। কাটোয়া থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: গম ক্ষেতে দেহ পুড়ে কঙ্কাল, এ কী হাড়হিম দৃশ্য বাংলায়! গোটা এলাকায় আতঙ্ক
এদিকে, হরিদেবপুর কাণ্ডে তদন্তে নেমে পুলিশ যে চার জনকে অ্যারেস্ট করেছে, তারা হল স্বপন মিত্র, ভৈরব বোস, বাবলু দলুই ও অজিত দাস। রবিবার আলিপুর আদালতে তোলা হবে অভিযুক্তদের। এদের মধ্যে দুজন ১৮ তারিখ বাইকে এসে রেখে যায় অস্ত্র ও বোমা। সেই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা হয়েছে। মুখ ঢাকা ও হেলমেট পড়া দুই ব্যাক্তিকে দেখা যায় সিসি ক্যামেরায়।
আরও পড়ুন: উনি তো আর বিদেশে পালাতে পারবেন না! কাকে বললেন দিলীপ ঘোষ? মাওবাদী মন্তব্যেও তুমুল বিতর্ক
অপরদিকে, ডাকাতির অভিযোগে বিধান নগর কমিশনারেটের এক এসআই নির্ভয় কুমার পান্ডেকে গ্রেফতার করল নৈহাটি থানার পুলিশ। আজ তাকে ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হচ্ছে । গত পরশুদিন নৈহাটি কল্যাণী এক্সপ্রেসের উপর এক ব্যবসায়ীকে কম পয়সায় গম পাইয়ে দেওয়ার জন্য ফোন করা হয়। সেই মতো ব্যবসায়ী ব্লাইন্ড স্কুলের সামনে অপেক্ষা করছিলেন। ফোনে তাকে বারবার বিভ্রান্ত করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। সেই সময় একটি গাড়ি আচমকাই কল্যাণী এক্সপ্রেসের উপর এসে দাঁড়ায় এবং এই ব্যবসায়ীকে বলা হয় যে, তিনি অসৎ উপায়ে ব্যবসা করছেন। ব্যবসায়ীকে হেনস্থা করার অভিযোগে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন সেখানে। আর হাতেনাতে দুজনকে তারা ধরে ফেলেন। পরে তাদের নৈহাটি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পুলিশের জেরায় অভিযুক্তরা জানিয়েছেন তাদের সঙ্গে ছিলেন বিধান নগর কমিশনারেট এএসআই নির্ভয় কুমার পান্ডে। সেই অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছে নৈহাটি থানার পুলিশ।