স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনাকে ঘিরে রীতিমত চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে মেদিনীপুরে। কীভাবে চলন্ত ট্রেন থেকে সবার অলক্ষ্যে ঝাঁপ দিল এই পড়ুয়া? তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় রেল পুলিশ ও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে যৌথভাবে দেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনা শহরের উপকন্ঠে নদী তীরবর্তী কাঁসাই হল্ট এলাকায়।
আরও পড়ুনঃ কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী, খুশি পাহাড়বাসী! প্রায় ২০ দিন পর খুলল শিলিগুড়ি-মিরিক রুট
advertisement
পরিবার এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে (৫টা ৫০মিনিটে) হাওড়া-আদ্রা শিরোমণি এক্সপ্রেসে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া সোহম পাত্র। সঙ্গে ছিলেন তাঁর মা-ও। জানা যায়, এদিন রাত্রি সাড়ে ৮টা নাগাদ ট্রেন যখন মেদিনীপুর স্টেশনে ঢোকার ঠিক আগে কাঁসাই হল্টের কাছে পৌঁছয়, সেইসময়ই সোহমের মা শৌচালয়ে যান। আর সেই ফাঁকেই চলন্ত ট্রেন থেকে নদীতে ঝাঁপ দেন সোহম বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও, কামরার অন্যান্য যাত্রীরা বিষয়টি বুঝতে পারেননি।
কয়েক মিনিটের মধ্যেই ট্রেন মেদিনীপুর স্টেশনে ঢোকে। এদিকে, শৌচালয় থেকে বেরিয়ে ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে, অন্যান্য যাত্রী-সহ টিটিই-কে বিষয়টি জানান সোহমের মা। মেদিনীপুর স্টেশনে পৌঁছনোর পর রেল পুলিশকেও জানান হয় বিষয়টি।
যদিও এরপর ওই যুবকের খোঁজ শুরু হয়, রাতে বিষয়টি একপ্রকার নিশ্চিত হতে রেল পুলিশের পক্ষ থেকে নদীতে খোঁজাখুজি শুরু হয়। তবে, দেহ এদিন মেলেনি। বুধবার সকালে কাঁসাই হল্ট এলাকায় রেল ওভারব্রিজের ঠিক নীচেই দেহ ভেসে উঠতে দেখেন রেল পুলিশের লোকজন। খবর দেওয়া হয় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশকেও। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় গুড়গুড়িপাল থানা ও খড়গপুর গ্রামীণ থানার অধীন সাদাতপুর ফাঁড়ির পুলিশ। পরে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন সোহমের মা-সহ পরিবারের সদস্যরা!
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ২০-র সোহম যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া। বাড়ি বাঁকুড়া শহরের ১৫নং ওয়ার্ডে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মানসিক অবসাদ থেকেই মেধাবী ওই পড়ুয়া এই কাণ্ড ঘটিয়েছে দেহ উদ্ধারের পর খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠান হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।






