২০০৯ সাল থেকে আটকে থাকা স্বপ্নকে নতুনভাবে সাজিয়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছিল ভারতীয় রেল। ২০২৩ সালের পর ২৪ সালেও রেল আধিকারিকেরা পরিদর্শন করেছিল নন্দীগ্রাম রেললাইন। তারপর ঠিকাদার সংস্থা নিয়োগ হয়। কাজ শুরু হয় নন্দীগ্রাম রেল লাইনের মাটি ফেলার। তারপর কেটে গেছে প্রায় এক বছরেরও বেশি দক্ষিণ-পূর্ব রেল শাখার তমলুক-দিঘা লাইনের দেশপ্রাণ স্টেশন থেকে নন্দীগ্রাম পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের কাজ থমকে গিয়েছে বলে জানান এই রেল প্রকল্পের জমিদাতারা। তারা জানান এই ঘুরে যাওয়া শুধুমাত্র দেখনদারি। কবে চাকরি পাবেন বা আদৌ চাকরি হবে কিনা তা নিয়ে এখনও কোনও কিছু জানা যায়নি।
advertisement
নন্দীগ্রামে রেল প্রকল্পে জায়গা দিয়েছেন কিন্তু এখনও পর্যন্ত চাকরি পাননি। চাকরির দাবিতে সোচ্চার হয়েছে জমিদাতারা। বন্ধ হয়েছে রেল প্রকল্পের কাজ। নন্দীগ্রাম থেকে বাজকুল পর্যন্ত রেল লাইন বিস্তার হবে। ঘোষণা অনুযায়ী ভারতীয় রেল দফতর নন্দীগ্রামের জায়গাও অধিগ্রহণ করে। রেল দফতরের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল ভূমি দাতাদের পরিবার পিছু একজন করে চাকরি দেওয়া হবে। ভূমিদাতাদের অভিযোগ ১৬ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত যাদের জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়েছে তারা এখনও পর্যন্ত চাকরি পাননি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
রেল প্রকল্পের জন্য জমি দেওয়া ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, “আদালতের নির্দেশ রয়েছে তাদেরকে চাকরি দেওয়ার জন্য তবুও এখনও পর্যন্ত তারা চাকরি পাননি। রেল যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের দাবি না মানছে, ততক্ষণ তাদের আন্দোলন চলবে।” নন্দীগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন এই রেল প্রকল্প। তা সত্ত্বেও নন্দীগ্রামে রেল প্রকল্প নিয়ে আশার আলো দেখছে না স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনকি রেলের জন্য ওই দাতাদের মনে ক্রমশ হতাশা গ্রাস করেছে।





