এভিটিএমের মাধ্যমে রেলের যে আয় হয়েছে, তা শুনলে মাথা ঘুরে যাবে। কারণ ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসের ১ তারিখ থেকে নভেম্বরের ৩০ তারিখ পর্যন্ত এই মেশিনের মাধ্যমে টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে রেলের আয় হয়েছে ১৯৩৩ কোটি টাকা। রেল সূত্রে খবর এই আয়, রেলের আনরিজার্ভ টিকিট থেকে আয়ের ২০ শতাংশ। পূর্ব রেলের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১১৪.৯ মিলিয়ন টিকিট বিক্রি হয়েছে অটোমেটিক টিকিট ভেন্ডিং মেশিনের মাধ্যমে। আর ঠিক এই কারণে সবমিলিয়ে প্রায় নতুন ৫৭২ নতুন এভিটিএম বসিয়েছে পূর্ব রেল।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দিঘা যখন গোয়া! এবার অর্ধেকেরও কম খরচে ঘুরুন দিঘা! কীভাবে পাবেন ধামাকা সুযোগ? জেনে আজই ঘুরে আসুন
রেলের তরফ থেকে বলা হয়েছে, নতুন যে টিকিট ভেন্ডিং মেশিনগুলি বসানো হয়েছে, সেগুলি আরও উন্নতমানের। এই মেশিনের মাধ্যমে টিকিট কাটা যাত্রীদের কাছে আরও সহজ হয়ে উঠবে। ক্যাশলেস টিকিট বুকিং সিস্টেমকে সহজ ও ব্যবহারযোগ্য করে তুলছে নতুন মেশিনগুলি। এভিটিএমে রয়েছে ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস। যার ফলে টিকিট কাটতে গিয়ে সমস্যা হবে না যাত্রীদের। পাশাপাশি এই মেশিনের মাধ্যমে টিকিট কাটার ফলে যাত্রীরা নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ সময় বাঁচাতে পারবেন। টিকিটের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে সময় নষ্ট করতে হবে না তাদের।
আরও পড়ুনঃ কড়া ডায়েট ছাড়ুন, সস্তার এই ৫ টেস্টি খাবার হুড়মুড়িয়ে গলায় কেজি কেজি মেদ! ৭ দিনে হাতেনাতে ফল
রেল সূত্রে খবর, নতুন যে ভেন্ডিং মেশিনগুলি বসানো হয়েছে, তার মধ্যে আসানসোল ডিভিশনের ৭৬টি ছাড়াও হাওড়া ডিভিশনে বসানো হয়েছে ১৭৩টি, শিয়ালদহ ডিভিশনে বসেছে ২৯০টি এবং মালদহ ডিভিশনে বসানো হয়েছে ৩৩টি। এপ্রিল থেকে নভেম্বরের সময়কালে আসানসোল ডিভিশনে অটোমেটিক টিকিট ভেন্ডিং মেশিনের মাধ্যমে ৩৪.২ মিলিয়ন যাত্রী টিকিট কেটেছেন, যা থেকে রেলের আয় হয়েছে ৭২৪ কোটি টাকা। উল্লেখ্য, এই টিকিট ভেন্ডিং মেশিনগুলিতে আনরিজার্ভ টিকিট ছাড়াও প্লাটফর্ম টিকিট কাটতে পারবেন যাত্রীরা। রেলের স্মার্টকার্ডের মাধ্যমে মান্থলি টিকিটও করানো যাবে। যেখানে পাওয়া যাবে ডিসকাউন্ট।
নয়ন ঘোষ