গত কয়েকদিনে সেই জাহাজ চলাচল অনেকটা বেড়ে গেছে বলে দাবি স্থানীয়দের। এই পণ্য আমদানি বা রফতানির কারণে, জাহাজের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণে এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত সুন্দরবনের মানুষজন। পাশাপাশি অতিরিক্ত জাহাজ চলাচলের কারণে নদী বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলেও দাবি প্রশাসনের আধিকারিকদের। এছাড়াও এই জাহাজ চলাচল বৃদ্ধির কারণে জলদূষণ থেকে শুরু করে জলজ প্রাণীদের মৃত্যু বাস্তুতন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলছে বলেও দাবি তাঁদের। ইতিমধ্যেই এই জলপথে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: বন্ধ কাজ, বন্ধ এই সরকারি প্রকল্পের টাকাও! সরকারের নিষেধাজ্ঞায় মাথায় হাত হাজার হাজার উপভোক্তাদের
পাশাপাশি এই পণ্য আমদানি বা রফতানির মাঝে যাতে কোনভাবে সুন্দরবন এলাকায় কোনরকম সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বা অনুপ্রবেশকারীদের ঢোকাতে না পারে বাংলাদেশ সেদিকে নজর রাখছে পুলিশ ও বিএসএফ। তবে এদেশে বারে বারে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ঢুকে পড়ায় চিন্তিত এলাকার মানুষজন। বিএসএফের চোখ এড়িয়ে সম্প্রতি বারে বারে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ ঘটেছে এদেশে। এসবের মধ্যে অন্যতম করিডর হিসেবে সুন্দরবনকে ব্যবহার করেছে তারা। দালালদের হাত ধরে বাংলাদেশের খুলনা, বাখেরহাট সহ একাধিক এলাকা থেকে এদেশে সম্প্রতি অনুপ্রবেশ ঘটেছে এদেশের সুন্দরবন এলাকায়। সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের তৎপরতায় ধরাও পড়েছে অনেকেই। এই ধরনের অনুপ্রবেশ এদেশে না ঘটে, সেদিকে কড়া নজর রাখছেন পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা। পাশাপাশি সুন্দরবনের জলপথ ব্যবহার করে কোন জঙ্গি যাতে এদেশে ঢুকতে না পারে সে বিষয়ে নজর রাখছে পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্তারা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে মাঝে কিছুটা নজরদারিতে শিথিলতা দেখা দিলেও পাহেলগাঁওতে পাকিস্তানি জঙ্গি হামলার পর সেই নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এদিকে সম্প্রতি দিল্লি বাংলাদেশের সঙ্গে স্থলপথে ব্যবসা বন্ধ করায় দু’দেশের মধ্যে কিছুটা হলেও দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে খোলা জলপথ দিয়ে যাতে এদেশে অনুপ্রবেশ না ঘটে সেদিকেও কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সুন্দরবনের উন্মুক্ত বাংলাদেশী সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে বিএসএফ। কিন্তু তবুও বিএসএফের নজর এড়িয়ে যাতে বাংলাদেশী পণ্যবাহী জাহাজ বা অন্য মাধ্যমে এদেশে অনুপ্রবেশ না হয় সেদিকেও নজর রাখছে উপকূল থানার পুলিশ বাহিনী।
সুমন সাহা