সন্দেহভাজন অবস্থায় আব্দুল আজিজ গাজী নামে এক পাচারকারীকে বিএসএফ প্রথমে আটক করে। স্ক্যান ডিরেক্টর দিয়ে তার শরীর স্ক্যান করতেই শরীরের ভিতরে কোনও ধাতু আছে বলে জানতে পারে বিএসএফ জওয়ানরা। তারপর তাকে বিএসএফ ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তিনি স্বীকার করেন, বাংলাদেশ থেকে সোনা ভারতে পাচার করার চেষ্টা করছিল। ওই পাচারকারী প্রথমে সোনার কিছু টুকরো নিয়ে কনডমের ভেতরে ঢোকায়। তারপর সোনা ভর্তি কনডম মলদ্বারের মধ্যে ঢুকিয়ে ভারতে আসার চেষ্টা করে। সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে গ্রামীণ হাসপাতালে এক্সরে করানোর পর তার মলদ্বারের গহ্বরে লুকানো সোনার বিস্কুটের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়।
advertisement
এরপর, বিএসএফের উপস্থিতিতে ডাক্তাররা চোরা কারবারীর মলদ্বার থেকে সোনার বিস্কুটগুলি বের করলে মোট ১২টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়। সোনা গুলো উদ্ধার করে বিএসএফ। বিএসএফ সূত্রে জানা যায় ১ কিলো ৪০৬ গ্রাম সোনা উদ্ধার হয় তার কাছ থেকে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ১ কোটি ২৪ লক্ষ ৬৩ হাজার ২৪ টাকা। আটক করা ওই পাচারকারীর বাড়ি স্বরূপনগরের দহরকান্দা এলাকায়। তাকে তেতুলিয়া শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের যোগ আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী জওয়ানরা।
—– জুলফিকার মোল্যা