সেই ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য আগেভাগেই প্রশাসনিক মিটিং সেরে রাখা হয়েছিল। ফলে পূণ্যার্থীদের খুব একটা অসুবিধা হয়নি। জানা গিয়েছে শ্রাবণী পূর্ণিমা এবং রাখি পূর্ণিমার পূণ্য লগ্নে মহাদেবের মাথায় জল ঢালার আগে এখান থেকে জল সংগ্রহ করেন অনেকেই।
advertisement
গঙ্গাসাগরের বাসিন্দারাও চেমাগুড়ি শিবালয় মন্দিরের শিবের মাথায় জল ঢালতে যান। সেজন্য সেখানে মন্দির কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে শ্রাবনী মেলারও আয়োজন করা হয়। ইতিমধ্যে কয়েক হাজার পূণ্যার্থী নির্বিঘ্নে জল সংগ্রহ করে ফিরে গিয়েছেন। আরও পূণ্যার্থীরা আসছেন।
পূণ্যার্থীদের নিরাপত্তা দিতে সাগর ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিভিল ডিফেন্সের কর্মী এবং সুন্দরবন পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে গঙ্গাসাগর কোস্টাল থানার একাধিক পুলিশ কর্মীদেরকে সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হয়েছে সেখানে।
এ নিয়ে সোনালী সাঁপুই নামের এক মহিলা জানিয়েছেন, জল নিতে এসেছিলেন। প্রতি বছর তিনি আসেন। তবে এবছরের ব্যবস্থা দেখে খুবই খুশি তিনি। এরকম ব্যবস্থা হলে খুবই ভাল হয়। গঙ্গাসাগরের পূণ্যভূমিতে সমগ্র শ্রাবণ মাস জুড়ে এখানে পূণ্যার্থীরা আসেন। তবে শ্রাবণী পূর্ণিমায় এখানে ভক্তদের ভিড় বাড়ে। শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার ভিড় আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সকলেই। ফলে সমস্ত প্রস্তুতি সেরে রাখা হয়েছে।