এই ঘটনায় মকবুল সেখ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে এই চক্রের মূল পান্ডা। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার মূলটি গ্রামে ঘটত এই ঘটনা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছবি দেখিয়ে বোমার অর্ডার নিত মকবুল। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে চলত বোমা বিক্রির এই ব্যবসা। আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বোমা বিক্রি এই চক্রের হদিশ পেয়ে হতবাক পুলিশ।
advertisement
গ্রেফতার চক্রের পাণ্ডা মকবুল সেখ। কাটোয়ার মুলটি গ্রামের ঘটনা। গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পেয়ে মকবুল সেখের বাড়িতে অভিযান চালায়। তার বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চলে। সেই তল্লাশিতে ছটি তাজা বোমা বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বাথরুমের ছাদে ওই ছ’টি বোমা রাখা ছিল। গ্রাহককে সরবরাহ করার জন্য বোমাগুলি তুষের ওপরে রেখে শুকোতে দিয়েছিল মকবুল। সেগুলি সাবধানতার সঙ্গে বাজেয়াপ্ত করা হয়।
এরপর দুর্গাপুরে বোম্ব ডিস্পোজাল স্কোয়াডে খবর দেওয়া হয়। দুর্গাপুর থেকে বোম্ব ডিস্পোজাল স্কোয়াডের সদস্যরা এসে ফাঁকা জায়গায় বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করে। অভিযুক্ত মকবুলের বাড়ি থেকে বোমাগুলি উদ্ধার করে প্রায় চারশ মিটার দূরের মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে দমকল কর্মীদের উপস্থিতিতে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মকবুল সেখের ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মকবুলের বাজেয়াপ্ত করা ফোন থেকে বোমা বিক্রির অনেক তথ্য পাওয়া গিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে মকবুল সেখকে হেফাজতে চেয়ে পুলিশ কাটোয়া মহকুমা আদালতে পেশ করে। পুলিশের প্রাথমিক ধারনা মকবুল বোমা তৈরি করে তার ছবি গ্রাহকদের মোবাইলে পাঠিয়ে অর্ডার নিয়ে বিক্রি করত। সে কারণে মকবুলকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে কাটোয়া থানার পুলিশ।