*মাদ্রাসায় রাজ্যে প্রথম হলেন ঝালমুড়ি বিক্রেতার মেয়ে শারিফা খাতুন। মালদহের রতুয়া থানার ভাদো গ্রামের বাসিন্দা শারিফা খাতুনের প্রাপ্ত নম্বর ৭৮৬। রতুয়ার ভাদো বটতলা আদর্শ হাই মাদ্রাসা থেকে এবার পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তাঁর এমন সাফল্য খুশি পরিবার থেকে মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষিকারা। রাজ্যে প্রথম হয়ে চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন শারিফা খাতুন। তবে পরিবারের আর্থিক অনটন তাঁকে ভাবাচ্ছে। আগামীতে উচ্চ শিক্ষার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আর্থিক সহায়তার অর্জি জানিয়েছেন।
*শারিফা খাতুন বলেন, আমি পরীক্ষা ভাল দিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম রাজ্যে মেধা তালিকায় নাম থাকবে।তবে প্রথম হব ভাবতে পারিনি। আমি খুব খুশি। আমার এই সাফল্যের পেছনে শিক্ষক শিক্ষিকা ও বাবা মায়ের ভুমিকা রয়েছে।আমি আগামীতে একজন স্ত্রীরোগের চিকিৎসক হতে চাই। তবে অভাবের সংসারে পরিবার হয়তো খরচ চালাতে পারবেনা। তাই আমি রাজ্য সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছি।
*শরিফা খাতুনের বাবা উজির হোসেন পেশায় ঝালমুড়ি বিক্রেতা। মা সোয়েফা বিবি গৃহবধূ। শরিফা খাতুনের পাঁচ ভাই-বোন। শারিফা সবথেকে ছোট। অতি কষ্টে পড়াশুনা করছেন তিনি। তবে নিয়মিত নিজের পড়াশোনা ঠিক রেখেছেন। প্রতিদিন নিয়মিত বাড়িতে প্রায় নয় ঘণ্টা পড়াশোনা করতেন। পাশাপাশি মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষিকারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।