আরও পড়ুন: দোলের দিন পুরোপুরি বন্ধ! বিশ্বভারতীতে হচ্ছে না বসন্ত উৎসব! রয়েছে কড়া নিষেধাজ্ঞা
এবার তার এই ভাবনার ফলস্বরূপ মিলছে UNESCO-র পৃষ্ঠপোষকতায় ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সের মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার।সম্প্রতি এই পুরস্কারের জন্য আইআইটি খড়্গপুরের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক প্রফেসর সুমন চক্রবর্তী এবং ব্রাজিলের ফেডারেল ইউনিভার্সিটি অফ পারানার বায়োপ্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর কার্লোস রিকার্ডো সকোল এর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে এশিয়ার সেরা একশো বিজ্ঞানীর তালিকাতেও জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। ২০২৩ সালে পেয়েছেন উচ্চশিক্ষায় ‘জাতীয় শিক্ষক’ সম্মান। অধ্যাপক চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের এক মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার। সারা বিশ্বের দু’জন বিজ্ঞানীকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এই খবর সত্যিই আনন্দের ও গর্বের। কাজের স্বীকৃতি ও সম্মান, আরও অনুপ্রাণিত করে নিঃসন্দেহে!”
advertisement
আরও পড়ুন: জাতীয় সড়কের উপরেই রমরমিয়ে চলছিল… পুলিশ গিয়ে যা দেখল, হতবাক সকলে
প্রসঙ্গত, স্বল্পমূল্যে সুচিকিৎসা সংক্রান্ত গবেষণা তথা নামমাত্র খরচে নানা রোগ নির্ণয়াক প্রযুক্তি তৈরিএবং তা প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এই স্বীকৃতি। পিছিয়ে পড়া যে সমস্ত এলাকার মানুষজন নানা টেস্ট করতে পারেন না, কিংবা ওই সমস্ত এলাকাতে টেস্টের সুবিধা এখনওপৌঁছয়নি; সেখানেও প্রযুক্তি পৌঁছে দিয়েছেন বিজ্ঞানীর এই আবিষ্কার।স্বাভাবিকভাবে সম্মান স্বরূপ মিলেছে এই সম্মান।আইআইটির অধ্যাপক-গবেষক সুমন চক্রবর্তী তাঁর ‘ফ্লুইড মেকানিকস অ্যান্ড থার্মাল সায়েন্স’ নিয়ে গবেষণার জন্য দেশে বিজ্ঞানের সর্বোচ্চ ‘শান্তিস্বরূপ ভাটনগর সম্মান’ও পেয়েছেন। পেয়েছেন ‘ইনফোসিস পুরস্কার-২০২২’।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সুমন ২০০২ সালে আইআইটি খড়্গপুরের অধ্যাপক হয়ে আসেন। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক সুমনের মূল বিষয় ‘ফ্লুইড মেকানিকস অ্যান্ড থার্মাল সায়েন্স’। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই বিষয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।করোনার সময়ে ভাইরোলজিস্ট অরিন্দম মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে আবিষ্কার করেছিলেন স্বল্পমূল্যে করোনা পরীক্ষার যন্ত্র ‘কোভির্যাপ’। মাত্র ১টাকায় (ফিল্টার পেপার কেনার খরচ) রক্তাল্পতা নির্ণয়ের জন্য তৈরি করেছেন ‘হিমো অ্যাপ’।
রঞ্জন চন্দ