মহিলাদের স্বনির্ভর করে তুলতে তারা কচুরিপানা দিয়ে তৈরি করছে হস্তশিল্পের নানাবিধ জিনিস। তৈরি হচ্ছে ব্যাগ থেকে শুরু করে মাথার টুপি, ফুলদানি প্রভৃতি জিনিস। এসমস্ত কাজের জন্য প্রথমে জলাশয় থেকে কচুরিপানা সংগ্রহ করে কচুরিপানার ডাটি গুলি ভাল করে শুকনো করে নেওয়া হয়। তার পর সেই জিনিসগুলিকে ছাড়িয়ে ইস্ত্রি করে এবং দক্ষ কর্মচারীদের হাতের শিল্পে তারা রূপ নেয় অপূর্ব সমস্ত দ্রব্যের। তাদের তৈরি এই হস্তশিল্প দিনে দিনে মানুষের মনে বিশেষ আগ্রহ তৈরি করছে। হস্তশিল্প মেলাগুলিতে এই কচুরিপানার তৈরি হস্তশিল্প কিনতে আগ্রহী হচ্ছেন শিল্পপ্রেমী মানুষরা।
advertisement
আরও পড়ুন : ‘অপরাজিত’ মুক্তির পর দিন ঘোষণা মৃণালের প্রতি সৃজিত-অর্ঘ্য ‘পদাতিক’-এর
আরও পড়ুন : এক শ্রেণীর কর্মীদের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণে ক্ষুণ্ণ মেডিক্যাল কলেজের ভাবমূর্তি
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্ণধার তাপস বৈদ্য জানান, তাঁদের এই অভিনব উদ্যোগ উৎসাহী কর্মচারী থেকে ক্রেতা সকলেই। তাঁরা এই উদ্যোগটি অসম সরকারের হস্তশিল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে শুরু করেছেন৷ প্রথমদিকে বাইরে থেকে ডিজাইনার ও প্ল্যানার নিয়ে এসে প্রশিক্ষণের কাজ শুরু হয়। সমস্ত মহিলা কর্মচারীদের সঙ্গে প্রথম ধাপে ২১ দিন ও পরের ধাপে ২১ দিন মোট ৪২ দিনের একটি প্রশিক্ষণ শিবির চলার পর শুরু হয় এই কাজ। বিভিন্ন জলাশয় থেকে কচুরিপানা সংগ্রহ করে তাকে শুকনো করা হয় এবং তার পরে তাকে নিয়ে আসা হয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ব্যান্ডেলের সেন্টারে সেখানে ২০ থেকে ২৫ জন মহিলা কর্মচারীর হাতে সেগুলির নব রূপ পায়৷
( প্রতিবেদন : Rahi Halder)
