Medical College: এক শ্রেণীর কর্মীদের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণে ক্ষুণ্ণ মেডিক্যাল কলেজের ভাবমূর্তি

Last Updated:

Medical College:অভিযোগ, এক শ্রেণীর কর্মীদের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ, দুর্বিনীত বেপরোয়া লোভ রোগীদের প্রতি অমানবিক আচরণ মেডিক্যাল কলেজের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।

করোনা পর্বে এই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল অসংখ্য রোগীকে সুস্থ করে বাড়ি ফিরিয়েছে
করোনা পর্বে এই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল অসংখ্য রোগীকে সুস্থ করে বাড়ি ফিরিয়েছে
কলকাতা : যত কাণ্ড কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। শতাব্দীপ্রাচীন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। গত ২ বছর ধরে করোনা সময়কালে খবরের শিরোনামে। কখনও বিনা চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, কখনও বা রোগীদের প্রতি চূড়ান্ত অবহেলার অভিযোগ, কখনও  আবার রোগীদের থেকে নানা কারণে জোর করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ। যদিও করোনা পর্বে এই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল অসংখ্য রোগীকে সুস্থ করে বাড়ি ফিরিয়েছে। এখানকার চিকিৎসক,নার্স,স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রাণ হতে করে রোগীদের চিকিৎসা করেছে। তবে অভিযোগ, এক শ্রেণীর কর্মীদের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ, দুর্বিনীত বেপরোয়া লোভ রোগীদের প্রতি অমানবিক আচরণ মেডিক্যাল কলেজের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।
গত কয়েকদিন ধরেই অভিযোগ উঠেছে রক্ত পরীক্ষার সাধারণ ভায়াল পর্যন্ত হাসপাতালে নেই। সমাজকর্মী তথা আইনজীবী এবং আরটিআই কর্মী বিশ্বনাথ গোস্বামী কয়েক দিন আগে এই বিষয়ে টুইট করেন। বিশ্বনাথ বাবু এর সঙ্গে মেডিক্যাল কলেজের সুপার এবং ডেপুটি স্পিকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে গোটা বিষয়টি জানান। মূলত ক্লট ব্লাড পরীক্ষা করার জন্য যে ভায়াল এর প্রয়োজন হয়, যে টিউবের মতো জিনিসে রক্ত ভরে পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় সেই ভায়াল অমিল। অভিযোগ,রোগীর আত্মীয়দের বাইরের দোকান থেকে কিনতে হচ্ছে এই ভায়াল। যেখানে সরকারি হাসপাতালে সমস্ত রকম চিকিৎসা এবং সমস্ত রকম শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে হওয়া উচিত।
advertisement
আরও পড়ুন : রবীন্দ্র সরোবরে পেট্রোলচালিত স্পিড বোট! 'কাণ্ড' দেখে অবাক পরিবেশপ্রেমীরা
অপূর্ব দাস নামে এক রোগীর আত্মীয় জানান, "আমার মা সার্জারি বিভাগে ভর্তি রয়েছেন৷ রক্ত পরীক্ষা করানোর জন্য ওয়ার্ড থেকে আমাকে ডাকা হয়৷ সাদা কাগজে লিখে দেওয়া হয় ১০ টি ভায়াল বাইরে থেকে কিনে আনার জন্য। খুব বেশি দাম না হওয়ায় প্রথমে গায়ে লাগেনি৷ পরে মনে হয়,সরকারি হাসপাতালে সব চিকিৎসা যখন বিনামূল্যে, সেখানে কেন আমায় বাইরে থেকে এগুলো কিনতে হল?"
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন : রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালে প্রসূতিদের থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা বাধ্যতামূলক
শিশু বিভাগে চিকিৎসাধীন খড়দহের বাসিন্দা শিরীন আখতারের বাবা মাসুম আখতার বলেন, " প্রথমে ভেবেছিলাম, এটাই হয়তো নিয়ম যে, রক্ত পরীক্ষার ভায়াল কিনে দিতে হয়। পরে জানলাম, এখানে সবই বিনামূল্যে, তা হলে প্রশ্ন, আমাকে বাইরে থেকে কেন কিনতে হল?"
আরও পড়ুন : কলকাতার ব্যস্ত রাস্তায় আচমকা নামল ধস! প্রশাসনের তৎপরতায় বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
এই বিষয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, এটা অত্যন্ত অনভিপ্রেত ঘটনা। আমরা দ্রুত এই  বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি। এরকম হওয়ার কারণ নেই৷ সেন্ট্রাল ল্যাবে ভায়ালের অভাব থাকার কারণ নেই। তাঁদের ধারণা, ওয়ার্ডে এক শ্রেণির অসাধু কর্মী এই ঘটনা হয়তো ঘটাচ্ছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস তাঁরা দিয়েছেন।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Medical College: এক শ্রেণীর কর্মীদের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণে ক্ষুণ্ণ মেডিক্যাল কলেজের ভাবমূর্তি
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement