আরও পড়ুন: বিয়ের মরশুমে দুশ্চিন্তায় চুঁচুড়া শহরবাসি! পাশে দাঁড়ালেন বিধায়ক
স্থানীয়রাই দেখেন বনভূমিতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। নষ্ট হয়ে গিয়েছে বনভূমির গাছপালা। সবুজ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। গাছের গোড়ায় আগুন জ্বলায় শুকিয়ে গিয়েছে গাছের ডাল পালা। আর এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। পরিবেশপ্রেমী অসিত মুখার্জি জানান, “শান্তির আলোয় এ যেন অশান্তির ছোঁয়া। বেশ কয়েক বছর আগে আমি আমার বাবা, দাদুর নামে পাখির নামে গাছ লাগিয়ে উৎসর্গ করেছিলাম। প্রায় গাছগুলি ১২ থেকে ১৪ ফুট হয়ে গিয়েছিল। সেই গাছগুলি নৃশংস ভাবে পুড়িয়েছে। এই গাছগুলি যারা পুড়িয়েছে তারা কতটা আনন্দ পাচ্ছি জানিনা কিন্তু আইনের থেকেও সচেতন সাধারণ মানুষ না হলে এভাবেই পরিবেশ ধ্বংস হতে চলেছে।”
advertisement
আরও পড়ুন: ই-ভেইকেল-এর বিরাট ভবিষ্যৎ, বাংলার জন্য ‘সুদিনের’ কথা জানালেন পরিবহণ মন্ত্রী
প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনোরঞ্জন পাল জানিয়েছেন তৎকালীন সময় পঞ্চায়েত থেকে জায়গাটিতে কিছু মূল্যবান গাছ ও ফলের গাছ লাগান হয়েছিল। কারণ সেখানেই ছিল শ্মশানে চুল্লি বহু মানুষ এখানে দাহ করার জন্য গ্রামের লোকজন আসেন। তাদের বিশ্রাম নেওয়ার জায়গার কথা মাথায় রেখে করা হয়েছিল। কিন্তু কে বা কারা আগুন লাগাচ্ছে বা কেনই করছে এই কাজ তা বুঝে উঠতে পারছি না। এই ঘটনার উপযুক্ত শাস্তির দাবি তুলেছেন প্রশাসনের কাছে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
অন্যদিকে পঞ্চায়েত প্রধান সান্তনা মান্না পুরো ঘটনার দায় এড়িয়ে গেছেন। তারা বিষয়টি নজরে দেবে এবং উপযুক্ত প্রশাসনের কাছে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।তাহলে প্রশ্ন উঠেছে সরকারি জায়গায় গাছগুলি কেন আগুন দিয়ে দিচ্ছে আর কেনই বা প্রশাসন নজর রাখছে না সেদিকে সেই প্রশ্নই তুলছেন বুদ্ধিজীবী মহল।
Suvojit Ghosh