TRENDING:

কাক ভোরেই টোকেন শেষ! সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রিতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ বর্ধমানে

Last Updated:

ধান বিক্রির আগে কৃষকদের পরিচয়পত্র দেখিয়ে টোকেন সংগ্রহ করতে হয়। কিন্তু প্রকৃত কৃষকরা সেই টোকেন পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
Saradindu Ghosh
advertisement

#বর্ধমান: সরকারি উদ্যোগে সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু হতেই তাকে ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। প্রকৃত কৃষকদের বাদ দিয়ে ফোড়েদের ধান কেনার সুযোগ করে দেবার ব্যাপারে সরকারি দফতরের এক শ্রেণীর অসাধু কর্মী সক্রিয় বলে অভিযোগ তুললেন কৃষকরা। তাঁদের অভিযোগ, প্রকৃত কৃষকদের বদলে অন্যদের হাতে ধান বিক্রির কুপন তুলে দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা। সেইসঙ্গে তাঁরা এ দিন বিক্ষোভও দেখান। পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের কিষান মান্ডিতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দেয়। খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা গিয়ে তদন্তের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ ওঠে।

advertisement

চলতি মাস থেকে গোড়া থেকে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার কাজ শুরু হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় সবচেয়ে বেশি ধান উৎপন্ন হয়। তাই এই জেলাতে সরকার সবচেয়ে বেশি ধান ক্রয় করে। ধানের ফোড়েরাজ বন্ধ করে কৃষকদের হাতে বাড়তি মুনাফা পৌঁছে দিতেই এই উদ্যোগ বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কিন্তু সেই ধান বিক্রির ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ তুলছেন কৃষকরা। ধান বিক্রির আগে কৃষকদের পরিচয়পত্র দেখিয়ে টোকেন সংগ্রহ করতে হয়। কিন্তু প্রকৃত কৃষকরা সেই টোকেন পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ।

advertisement

পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার কৃষক বাজারে সরকারিভাবে সহায়ক মূল্যের ধান ক্রয় করা হচ্ছে।

সেই ধান বিক্রয় করতে গেলে চাষিকে টোকেন সংগ্রহ করতে হচ্ছে কিষান মান্ডি থেকে । কিন্তু প্রকৃত যাঁরা চাষি প্রতিদিনই তাঁদের ফিরে যেতে হচ্ছে। অভিযোগ, প্রতিদিন ৩০ জনকে টোকেন দেওয়া হয়। কিন্তু কৃষকরা যখন আসছেন তখন দেখছেন প্রতিদিনই ৩০ জন চাষির নাম নথিভুক্ত হয়ে যাচ্ছে সাতসকালেই। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করেই আজ উত্তাল হয়ে উঠল ভাতার কৃষক বাজার।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
জয়নগরের মোয়া, তাও আবার সুগার ফ্রি! উইন্টার ডেলিকেসি এখন সবার নাগালে, কোথায় পাবেন? জানুন
আরও দেখুন

এ দিন দেখা যায় শতাধিক কৃষক টোকেন না পেয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।পরে খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের আশ্বাসে বিক্ষোভ ওঠে। কী কারণে এই ঘটনা ঘটছে তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন চাষীরা। ভাতার ব্লকের কৃষক স্বরূপ সরকার জানান, ‘‘আজ তিনদিন আসছি টোকেন সংগ্রহ করতে ।কিন্তু প্রতিদিনই ফিরে যেতে হচ্ছে। এই টোকেন নিয়ে দারুণ জালিয়াতি হচ্ছে আমার মনে হয় । কারণ যত ভোরেই আসছি নাম পূরণ হয়ে যাচ্ছে। অথচ কাউন্টারে মাত্র দুই থেকে তিনজন চাষী থাকছেন। আমরা চাই সরকার সঠিক তদন্ত করুক।’’

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
কাক ভোরেই টোকেন শেষ! সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রিতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ বর্ধমানে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল