এবারের লক্ষ্মীপুজোয় খুদে শিল্পীর উপর মূর্তি তৈরির দারুণ চাপ। গত বছরের থেকে এবার মূর্তি তৈরির বরাতও এসেছে বেশি। শৈশব থেকে ছবি আঁকার প্রতি দারুণ আগ্রহ। কাগজের উপর রঙ পেনসিল দিয়ে আঁকা ছবি হয়ে উঠত একেবারে জীবন্ত! লেখাপড়া, ছবি আঁকার পাশাপাশি খেলার ছলে শুরু হয়েছিল মূর্তি গড়া। নিজে হাতে মূর্তি বানিয়ে সেই মূর্তি পুজো করত নিজেই।
advertisement
আরও পড়ুনঃ চা খাইয়ে রোগীর পরিজনদের লুট! নগদ টাকা-মোবাইল নিয়ে চম্পট দুষ্কৃতীর, মহকুমা হাসপাতালে চাঞ্চল্যকর ঘটনা
কয়েক বছর আগে স্বামীজির একটি মূর্তি তৈরি করে প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের দ্বারা প্রশংসিত হয় স্নেহাশিস। এরপর মূর্তি বানানোয় মনোযোগ আরও বাড়ে। ইতিমধ্যেই এক এক করে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কালী মূর্তি গড়েছেন। প্রথমে মূর্তি গড়ার কাজে দু-একটি বরাত এলেও বর্তমানে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কালী পুজোর সময় বেশ চাপ থাকে। লেখাপড়া সামলে যতটুকু সময় পায়, মূর্তি তৈরির কাজে হাত লাগায় পাঁচলা গঙ্গাধরপুর গ্রামের স্নেহাশিস খাঁড়া।
লক্ষ্মীপুজো শেষ হতেই এক এক করে মূর্তি তৈরির বরাত আসতে শুরু করে। গত বছর দু-একটি বরাত পেয়েছিল, এবার সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০টি। এই প্রসঙ্গে স্নেহাশিস জানায়, কয়েক বছর আগে খেলার ছলে মূর্তি গড়া শুরু হয়েছিল। পরিবার, প্রতিবেশী এবং গ্রামের মানুষের উৎসাহে মূর্তি গড়ার কাজ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। রাধাকৃষ্ণ, লক্ষ্মী, লক্ষ্মী-নারায়ণ, সরস্বতী ও কালী সহ বিভিন্ন মূর্তি এতদিনে তৈরি করেছে। ইচ্ছে রয়েছে দুর্গা প্রতিমা গড়ার।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই প্রসঙ্গে খুদে শিল্পীর বাবা মোহন খাঁড়া জানান, শৈশব থেকে ছবি আঁকার প্রতি বেশ মনোযোগী স্নেহাশিস। কাদা-মাটি নিয়ে খেলার ছলে মূর্তি গড়া শুরু করে সে। এরপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি তৈরি করছে। এখন গঙ্গাপুর গ্রাম ছাড়িয়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামেও প্রতিমা যাচ্ছে দেখে বেশ ভাল লাগছে। ছেলেকে নিয়ে গর্ব হয় বলে জানান স্নেহাশিসের বাবা।