বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে ইলেকট্রিক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে হাওড়ার পাঁচলার বিস্তীর্ণ এলাকা। স্থানীয় মানুষের কথায়, কোনরকম ঝড় বৃষ্টি ছাড়া ইলেকট্রিক বিচ্ছিন্ন হয় এলাকায়। কী কারণে ইলেকট্রিক বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা এবং কখন ইলেকট্রিক পরিষেবা স্বাভাবিক হবে। সে বিষয়ে জানতে স্থানীয় মানুষ ইলেকট্রিক অফিস নম্বরে অসংখ্য বার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ। জুজারসাহা, গোন্ডলপাড়া, গঙ্গাধরপুর সহ বিভিন্ন গ্রামের হাজার হাজার পরিবার সমস্যায় পড়েন। এমন ঘটনা প্রায়ই হয়ে থাকে বলেই সাধারণ মানুষের অভিযোগ।
advertisement
এদিকে গোন্ডলপাড়া গ্রামের বাসিন্দা গৌতম পাঁজা জানান, “বাড়ির উপর দিয়ে ১১ হাজার ভোল্টের ইলেকট্রিক পরিষেবা গিয়েছে। হঠাৎ বৃহস্পতিবার রাত ১২.৩০ নাগাদ ইলেকট্রিক তার ছিঁড়ে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে ও বিকট শব্দ হতে থাকে। এমন ভয়ানক ঘটনা দেখে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। এই ইলেকট্রিক তারের নিচেই রয়েছে একাধিক টিনের ছাউনির বাড়ি। মাঝেমধ্যেই ইলেকট্রিক তার ছিঁড়ে পড়ার ঘটনা। ফলে এখানকার পরিবারগুলি আতঙ্কে থাকে। তার ছিঁড়ে পড়ার মত ঘটনা ঘটলে ইলেকট্রিক অফিসে চেষ্টা করলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয় না অনেক সময়। ছিঁড়ে পড়ে বিপজ্জনক ভাবেই ঘন্টার পর ঘন্টা থাকে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বৃহস্পতিবার রাতভর ইলেকট্রিক বিচ্ছিন্ন। ঝড় বৃষ্টি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়া এমন ঘটনা। মানুষ বারবার ইলেকট্রিক অফিসে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। তারই প্রতিবাদে ধুলোগোর-ফটিকগাছি রোড অবরুদ্ধ করে স্থানীয় মানুষ। প্রায় ২ ঘন্টা থমকে পড়ে ধুলোগড় ফটিকগাছি রোডে যান চলাচল। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পাঁচলা থানার পুলিশ। পুলিশ পৌঁছলেও যান চলাচল স্বাভাবিক করতে পারেনি। ঘটনাস্থলে পৌঁছন, জুজারসাহা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান খলিল আহমেদ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মানুষকে বুঝিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন।
এ প্রসঙ্গে খলিল আহমেদ জানান, ইলেকট্রিক বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা বর্তমান সময়ে দারুণভাবে দেখা দিয়েছে। এই ঘটনায় স্থানীয় মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় ইলেকট্রিক বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর, মানুষ ইলেকট্রিক অফিসে যোগাযোগ করতে চাইলেও সম্ভব হয়না। মানুষ জানতেই পারে না কখন ইলেকট্রিক পরিষেবা স্বাভাবিক হবে, বা কী কারণে ইলেকট্রিক বিচ্ছিন্ন।
রাকেশ মাইতি