হাওড়ার সার্ভিস রোডের রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে এবং মানুষজন আতঙ্কের মধ্যে জীবনযাপন করছে। বিশেষ করে বর্ষাকালে এই রাস্তা আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। এই রাস্তার খারাপ অবস্থার কারণে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে এবং স্থানীয় বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। রাস্তা সংস্কারের অভাবে এই সমস্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: এ কী অবস্থা স্কুলের…! লাটে উঠেছে পড়াশুনা, বছর বছর একই জ্বালায় বিরক্ত সবাই
ছোট বড় বহু যানবাহন, সাইকেল-বাইক সব মিলেয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার গাড়ি এবং মানুষ যাতায়াত করেন এই পথে। বেশিরভাগ ইন্ডাস্ট্রি এলাকা হয় আরও বেশি সমস্যা। সার্ভিস রোডের অবস্থা খারাপ, তবে বর্ষাকাল এলে এই রাস্তা আর রাস্তা থাকে না বরং তা মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়। এবারও যথারীতি তেমনই পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। জল জমে রাস্তার উপর তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। ফলে প্রায় প্রতিদিন ছোট বড় বিভিন্ন যানবাহন দুর্ঘটনার মুখে পড়ছেন যাত্রীরা। বৃষ্টি হলে আরও ভয়ানক হয়ে ওঠে এই রাস্তা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
রাস্তায় যেখানে-সেখানে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে, যার ফলে যানবাহন চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়েছে। নিকাশি ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তা জলমগ্ন হয়ে যায়, যা যানজট ও দুর্ঘটনার কারণ। নিকাশি নালা সংস্কার না হওয়ার কারণে জল জমে রাস্তা আরও খারাপ হয়ে যাচ্ছে। যানজটের কারণে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বাড়ে। অনেক সময় চালকরাও বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালান, যা দুর্ঘটনার কারণ বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দা।
প্রতিবছর বর্ষা এলেই হাওড়া জেলার এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ধূলাগড়, আলমপুরের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে চলাচলের ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হয় মানুষ। দুর্ঘটনা ঠেকাতে রাস্তা মেরামতি হয়। তবে কয়েক মাস যেতে না যেতেই আবারও রাস্তার একই অবস্থা হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। এ প্রসঙ্গে ধুলোগোর ট্রাফিক আইসি স্বরূপ সেন জানান, জাতীয় সড়কের সার্ভিস রোডগুলির বেহাল অবস্থা। ভারী যানবাহন জাতীয় সড়ক থেকে সার্ভিস রোড ব্যবহার করে বিভিন্ন কলকারখানায় আসা-যাওয়া করছে। এই সমস্ত সার্ভিস রোডের বহন ক্ষমতা কম হওয়ার জন্য দ্রুত ক্ষতি হচ্ছে সার্ভিস রোডে। তার উপর সময়মত এবং সঠিক মেরামতির অভাবে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। বিশেষ করে এই বর্ষার সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা কয়েকগুণ বাড়ি। এ বিষয়ে একাধিকবার জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে লিখিত জানান হয়েছে। কিন্তু তার পরেও এ বিষয়ে যথাযথ কাজ হয়নি। তবে এ প্রসঙ্গে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ইন্সিডেন্ট ম্যানেজার জানান, অনবরত জাতীয় সড়কে সমস্যা সমাধানের কাজ চলছে।
রাকেশ মাইতি





