সেই দুর্ঘটনার পর থেকে কোনও খোঁজ নেই দীপঙ্করের। ছেলের খোঁজে ওড়িশা ছুটে গেছে পরিবার। গত শুক্রবার শালিমার স্টেশন থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চেপে ছিল সে। কয়েক ঘন্টা পরই মর্মান্তিক দূর্ঘটনা।
ঘটনার পাঁচদিন কেটে গিয়েছে। দুর্ঘটনায় আহত যাত্রীরা ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে। কিন্তু এখনও খোঁজই মেলেনি দীপঙ্করের। কোথায় আছে কীভাবে আছে, জীবিত আছে কি? নানা প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে পরিবারের সদস্যের মনে।
advertisement
আরও পড়ুন- করমণ্ডলের ভয়াবহ স্মৃতি নিয়ে গান বাঁধলেন শিল্পী
বহু খোঁজ খবর করেও দীপঙ্করের কোনও হদিস মিলছে না। তাঁর বাবা কাঁদতে কাঁদতে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। সেই অভিশপ্ত দিনের পর আবার হাওড়ার শালিমার থেকে ছাড়ল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনে দীপঙ্করের খোঁজে পাড়ি দিল বাবা সহ পরিবার সদস্যরা।
এ প্রসঙ্গে দীপঙ্করের জামাইবাবু রাজা দাস জানান, দীপঙ্করের দেহ বলে একটা বডি শনাক্ত করেছিলাম। কিন্তু সেটা নিশ্চিত নয়। এর মধ্যে অন্য একটা বডির জামা ম্যাচ করছে। সেটা শনাক্ত করতে বালেশ্বর যাচ্ছি।
আরও পড়ুন- জালে বেশি মাছ পড়ার আশায় মৎস্যজীবীরা, তবে কি কমবে মাছের দাম?
প্রসঙ্গত দুর্ঘটনার ১০০ ঘণ্টা পেরিয়েছে। এর মধ্যেই চালু করমণ্ডল এক্সপ্রেস। শালিমার থেকে সেই ট্রেনেও চাপলেন যাত্রীরা। তবু মনে কোথাও আশঙ্কা যেন রয়েই গিয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এক রাতেই আস্ত মৃত্যুপুরী হয়ে উঠেছিল ওড়িশার বালাসোর।
রাকেশ মাইতি