জল জীবন মিশনের হাওড়া ডিভিশনের ডিপিএমইউ শুভশ্রী ভট্টাচার্য উদ্বোধন করেন। এই প্রতিজ্ঞা দেওয়ালের মাধ্যমে, শিক্ষার্থীদের জল সংরক্ষণে উৎসাহিত করার লক্ষ্য। এই স্কুলের প্রধান প্রবেশপথে অবস্থিত এই বিশেষ দেওয়ালটি জলই জীবন থিমে গঠিত। যাতে খুব সহজেই স্কুলের প্রবেশপথে সকলের চোখে পড়ে এমনইভাবে সাজানো দেয়ালের অংশ। এখানে জল সঞ্চয় করতে শপথ গ্রহণ।
advertisement
আরও পড়ুন: ৩৫ লাখ টাকা…! এবার কী ফিরবে সুদিন, যা হচ্ছে গোবর্ধনপুরে
প্রতিজ্ঞা দেওয়ালে লেখা, ‘আমি প্রতিজ্ঞা করছি, জলের অপচয় করব না। কল বা থেকে সরাসরি হাত-মুখ ধোব না। বোতল পাত্রে জল নিয়ে ব্যবহার করব। চাল-আনাজ বা অন্য কোন জিনিস ধোয়া জল গাছের গোড়ায় দেব। বাড়িতে ও স্কুলে জল বাঁচাব।’ এই প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হল প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে জল সংরক্ষণের সচেতনতা গড়া। পরিবেশবান্ধব নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। এই উদ্যোগকে স্কুলের সীমানা ছাড়িয়ে হাওড়া জেলা ও পশ্চিমবঙ্গে একটি স্থায়ী জল সংরক্ষণ সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করা। যা ভবিষ্যতে বিশ্বব্যাপী জল সংরক্ষণ এ অবদান রাখবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সকল শিক্ষার্থীরা হাত তুলে শপথ গ্রহণ করে। অভিভাবকদের উৎসাহী উপস্থিতি এই মুহূর্তকে অবিস্মরণীয় করে তুলেছে। একটি ৭ দিনের ‘জল সাশ্রয় চ্যালেঞ্জ’, যেখানে বাচ্চারা কল বন্ধ রাখা, জল নিয়ে তারপর ধোয়ার কাজে জল ব্যবহার করা এবং বৃষ্টির জল সংগ্রহের মত বাস্তব কৌশল প্রয়োগ করবে। প্রতিজ্ঞা দেওয়াল উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন দীপক আচার্য, ডিস্ট্রিক্ট কো অর্ডিনেটর, উফস হেলথ। সম্মানীয় সুরাজ মন্ডল মহাশয় অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক উলুবেড়িয়া দক্ষিণ চক্র। এ প্রসঙ্গে সুরাজ মন্ডল বলেন – বিদ্যালয়ের এই উদ্যোগ সুস্থ সুন্দর নির্মল সমাজ গড়তে ভবিষ্যত প্রজন্মকে পথ দেখাবে।
শুভশ্রী ভট্টাচার্য বলেন, “এই দেওয়াল আমাদের ভবিষ্যতের জন্য একটি প্রতিশ্রুতি। আমরা আশা করি এটি হাওড়া থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গে জল সংরক্ষণের একটি আন্দোলন জাগিয়ে তুলবে। যা বিশ্বব্যাপী জল সংকটে একটি উজ্জ্বল নমুনা হবে।”
এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজদূত সামন্ত বলেন, “আমাদের বিদ্যালয়ের শিশুদের জল সংরক্ষণ ও অপচয় রোধ বিষয়ে নিয়মিত চর্চা হয় বিদ্যালয়ে আছে ওয়াটার হার্ভেস্টিং প্রসেস যার ফলে শিশুরা হাতে কলমে জল সংরক্ষণ বিষয়ে সচেতন হচ্ছে।আমাদের শিশুদের ‘প্রতিজ্ঞা দেওয়াল’ আগামীতে এই বিষয়ে আরও উৎসাহিত করে তুলবে আশা করছি।”
রাকেশ মাইতি