এদিকে শহরে বাড়ছে জনবসতি, তার ওপর পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আবর্জনার পরিমাণ। এভাবেই আবর্জনার পরিমাণ বাড়তে বাড়তে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। তার জেরে শহরের ব্যস্ত রাস্তা গুলি অনেক সময় নোংরা আবর্জনায় পরিপূর্ণ হয়ে থাকে।
এই আবর্জনা সরাতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে প্রশাসন। আবর্জনার পরিমাণ বিপুল হওয়ার কারণে সমস্যাও রয়েছে। অত্যাধুনিক ভ্যাট নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র ব্যবহার করেও যথাযথ আবর্জনার নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: কয়েক কোটি টাকা খরচ করে বিশ্বভারতীতে তৈরি হচ্ছে যোগ পার্ক,কী সুবিধা মিলবে জানুন
প্রাচীন শহর ঘন জনবসতি, প্রতিদিন টনটন আবর্জনা। সেই আবর্জনা, দশকের পর দশক ধরে জমা হয়েছে বেলগাছিয়া ভাগাড়ে। বিভিন্নভাবে উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে শহরে জঞ্জাল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা প্রতিনিয়ত করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। বছর বছর জঞ্জাল নিয়ন্ত্রণে নানা উদ্যোগ। এরই মধ্যে বেলগাছিয়া ভাগাড়ে ভয়ঙ্কর ধস।
বেলগাছিয়ায় ধস নামার ঘটনায় শহরবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বেলগাছিয়ার পরিবর্তে হাওড়ার জগাছায় জঞ্জাল রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে, স্থানীয় মানুষ প্রতিবাদে নামেন। এরপর হাওড়া থেকে জঞ্জাল কলকাতা ধাপায় নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রতিদিনের টনটন আবর্জনা হাওড়া ধাপায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: লজিক দিয়ে কুসংস্কার বধ জঙ্গলমহলে
জঞ্জালের স্তুপ বাবেলগাছিয়া ভাগাড়ে ধস নামার ঘটনা পুনরাবৃত্তি হবার আতঙ্ক থেকে মুক্ত হয় জেলবাসী। ঘন জনবসতি এলাকায় আবর্জনা স্তুপ বা ভাগাড়ের সমস্যা মাথা থেকে নামলেও রাস্তার পার্শ্ববর্তীতে ভ্যাটের আবর্জনা ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা লেগেই রয়েছে। শহরের একাংশের মানুষ দীর্ঘদিন এর প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। সারা বছর ব্যস্ত রাস্তার উপর আবর্জনা ছড়িয়ে, বর্ষায় রাস্তার উপর জলের সঙ্গে আবর্জনা মিশে যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়ে। বারংবার সংবাদ শিরোনামে এসেছে এমন অস্বস্তকর ঘটনা।
স্থানীয় মানুষ দীর্ঘ দিন ধরে এর প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এই ভ্যাট সমস্যা থেকে মুক্তি কিভাবে মিলবে চেষ্টা তো চলছিল। অবশেষে সমস্যার সমাধান ঘটতে চলেছে।
বড় রাস্তার ধারের ভ্যাট তুলে সৌন্দর্যায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই শহরের বড় রাস্তার ধারে বেশ কয়েকটি ভ্যাটকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তারই সূচনা হিসাবে, হাওড়া হুগলি ডক সংলগ্ন পুরনো একটি ভ্যাট বন্ধ করে তার ওপর একটি পার্ক নির্মাণ করা হয়েছে। বড় রাস্তার পার্শ্ববর্তী ভ্যাটকে শহরের সৌন্দর্যায়ন বৃদ্ধিতে কাজে লাগানো হবে। এমন কর্মকাণ্ডে দারুন খুশি স্থানীয় মানুষ।
তবে এমন উদ্যোগে অনেকেই মনে করছেন প্রতিদিনের জঞ্জাল কোথায় পড়বে। এত জঞ্জাল কিভাবে ভ্যাট ছাড়া নিয়ন্ত্রণ হবে। সেই দিক গুরুত্ব রেখে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন বাড়ি বাড়ি পৌঁছে আবর্জনা সংগ্রহ করা হবে। একটি গান বাড়িতে দুয়ারে বাজলেই মানুষ বুঝবে আবর্জনা খেলার সময় হয়েছে। শহরবাসীও ভীষণভাবে সাড়া দিয়েছে।





