মণ্ডপটি তৈরি করা হয়েছে তিনটি ভাগে। প্রথমভাগে অপু দুর্গার বাড়ি সেই বাঁশ বাগান ঘরের চালের ঘর। দ্বিতীয় ভাগে ঢুকলে কাশফুলের মাঝে ট্রেনের দেখা মিলবে। এবং শেষভাগে মহাভারতের কর্ণকে ফুটিয়ে তোলা রয়েছে। মণ্ডপের মধ্যে ঢুকলেই মনে হবে অপু দুর্গার বাড়িতে চলে এসেছেন। শিল্পীর নিখুঁত হাতের কাজ পরিষ্কারভাবে ফুটিয়ে তুলেছে অপু ও দুর্গার জীবনযাত্রা মণ্ডপের মাধ্যমে। সাদা- মেঠো রংয়ের অপু দুর্গা ও তাদের মা এর এই অভিনব প্রতিমা সাড়া ফেলেছে দর্শক থেকে বিচারক সবার মনে।
advertisement
আরও পড়ুন : মাত্র ৪৫০ টাকার জন্য পিটিয়ে খুন শহরের বুকে! গ্রেফতার তিন
ফরোয়ার্ড ক্লাবের পুজো নিয়ে তাদের এক পূজা উদ্যোক্তা জানান, গোটা মণ্ডপটি তৈরি হয়েছে বাঁশ গাছের ডাল বেগুন গাছের কাঠ শোলা ঘাস কাশফুল এইসব দিয়ে। কালীপূজার সময় থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল মণ্ডপ তৈরির কাজ। দর্শকরা বাইরে থেকে মণ্ডপটি কী রয়েছে তা বুঝতে পারবেন না যতক্ষণ না তারা ভিতরে প্রবেশ করছেন। গল্পের বইয়ে যেমন ভাবে বিভূতিভূষণ বর্ণনা করেছিলেন ঠিক তেমনভাবেই মণ্ডপটি তৈরি করার চেষ্টা চলে। এমনকি দর্শনার্থীরা যাতে মণ্ডপের ভিতরে প্রবেশ করলে গ্রামের যে মেঠো গন্ধ তাও পাবেন।
রাহী হালদার