প্রায় এক মাস আগে ওই গ্রামের এক ব্যক্তির এইচ আই ভি পজিটিভ চিহ্নিত হয়। জানা যায় তার স্ত্রীও একই রোগে আক্রান্ত। সেই কথা জানাজানি হতেই তাদের উপর গ্রামে সামাজিক ভাবে বয়কটের অভিযোগ ওঠে। তাদের পরিবারেরর এক সাত বছরের শিশুকে প্রায় এক মাস ধরে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
advertisement
স্কুলে গেলে ওই ছাত্রকে গেট থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অন্যদিকে গ্রামেও পরিবারটিকে সামাজিক বয়কট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। আক্রান্তের পরিবার একটি পুকুর ব্যবহার করায় সেই পুকুরে জল গ্রামবাসীরা ব্যবহার করছেন না। গ্রামের কোনও টোটো চালক ওই পরিবারের এমনকি অন্যান্য সদস্যদেরকেও চড়তে দিচ্ছেন না। এমনকি আক্রান্ত পরিবারের পাশাপাশি তাঁর কাকা, ভাই-সহ পাঁচটি পরিবারের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছেন গ্রামের মানুষ।
এই ঘটনা নিয়ে স্কুল দফতর, স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসনের কাছে জানিয়েছেন ওই পরিবারের সদস্যরা। তবে তার পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ। যদিও দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রকে স্কুলে ঢুকতে না দেওয়ার ঘটনায় দায় এড়িয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা। তাঁর পাল্টা দাবি গ্রামের মানুষ, অভিভাবক ও পরিচালন কমিটির চাপে এই সিদ্ধান্ত। তিনি চান ওই ছাত্র স্কুলে আসুক। একই সুর শোনা গেল স্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের গলায়।
তবে শিশুটির স্কুলে যাওয়া ও পঠনপাঠন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নিরুপায় হয়ে পরেছেন ওই পরিবার। সামাজিক বয়কটের শিকার হয়ে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন আক্রান্তের পরিবারের লোকজন। প্রশাসন এই সমস্যার সমাধান করুক সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা পরিবার। যদিও ঘটনায় গ্রামের মানুষের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেন স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান।
রাহী হালদার