মঙ্গলবার চন্দননগর রবীন্দ্র ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে সংগঠনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী। উপস্থিত ছিলেন চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী, ডেপুটি মেয়র মুন্না আগরওয়াল, মেয়র পরিষদ সদস্যা স্নিগ্ধা রায়, পার্থ দত্ত, শুভজিত সাউ, সংগঠনের সম্পাদক সেখ নাসিরউদ্দিন, সভাপতি দীনেশ জ্বালান, আইনজীবী নুরুল ইসলাম খান সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা চার শতাধিক ইলেকট্রিক বাহন প্রস্তুতকারক সংস্থার কর্ণধার এবং ডিলার ডিস্ট্রিবিউটর।
advertisement
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী বলেছেন, সংগঠনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাক্ষী থাকতে পেরে তিনি গর্বিত। ক্রমাগত তাপমাত্রা বাড়ছে। তাই উন্নয়নের সংজ্ঞাও পাল্টেছে। বর্তমানে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে উন্নয়ন করতে হয়। সেই দিকে লক্ষ রেখে ভারতের মধ্যে ইলেকট্রিক বাহন কেনার ক্ষেত্রে এক নম্বরে এই রাজ্য। বর্তমান রাজ্য সরকার এই শিল্পকে অগ্রাধিকার দেয়।
এই বাহনের ফলে বহু বেকারের কর্মসংস্থান হয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের যাতায়াতের সুবিধে হয়েছে। মানুষকে সঠিক পরিষেবা দেওয়া, ব্যবসা করার অনুকূল পরিবেশ এবং বৈধ কাগজ পত্র সহ ই রিক্সা রাস্তায় চলুক। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই সমস্ত ই রিক্সার রেজিস্ট্রেশান করে দেওয়া হবে। বেআইনি উৎপাদক সংস্থাগুলিকে অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া হবে।এদিন উদ্বোধনী ভাষণে রাজ্যের মুখ্য মন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বেকারত্ব দূরীকরণ এবং শিল্প স্থাপনের অকল্পনীয় প্রচেষ্টার প্রসঙ্গ তুলে সংগঠনের সম্পাদক শেখ নাসিরউদ্দিন বলেছেন, মুখ্য মন্ত্রীর শিল্পবান্ধব মানসিকতার কাঙ্ক্ষিত সুফল সর্বত্র। রাজ্য সড়ক জাতীয় সড়ক সংলগ্ন একাধিক জায়গা ছেয়েছে, ছোট বড় নানান শিল্পে।
আরও পড়ুন: দিঘায় কে এলেন! জেলেদের মধ্যে তুমুল শোরগোল! সৈকত নগরী তোলপাড়
কর্মসংস্থান হয়েছে হাজার হাজার বেকার যুবক যুবতীর। আমদের তরফে শুরু হয় পরিবেশ বান্ধব ইলেকট্রিক বাহন উৎপাদক সংস্থা গড়ে তোলার চেষ্ঠা। অনেক বাঁধা বিপত্তি অতিক্রম করে গত দশ বছর আগে নেওয়া সেই ক্ষুদ্র উদ্যোগ রাজ্যের মুখ্য মন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারের সক্রিয় সহযোগিতায় বর্তমানে বড় চেহারা ধারণ করেছে। কর্মসংস্থান হয়েছে হাজার হাজার বেকার যুবক যুবতীর। বর্তমানে রাজ্যে কমবেশি চল্লিশ জন ইলেকট্রিক বাহন উৎপাদনকারী সংস্থা রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে প্রায় চার শতাধিক ডিলার এবং ডিস্ট্রিবিউটর।
আরও পড়ুন: তারাপীঠের কাছেই ভয়ঙ্কর কাণ্ড, শুধুই কান্নার রোল! খুব সাবধানে যাবেন
গত বছর গুলিতে এই শিল্পের দ্বারা বছরে কমবেশি পাঁচ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। এরাজ্যে উৎপাদিত ইলেকট্রিক বাহন রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে পৌঁছেছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। বিদেশে ঘানার মাটিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এরাজ্যে ইলেকট্রিক ভেহিকেল। বিগত দশ বছর ধরে লক্ষ ছিলো ইলেকট্রিক বাহনের সঙ্গে যুক্ত সকলে এক ছাতার তলায় আসা। এদিন সেই স্বপ্ন পূরণ হল। অনুষ্ঠানের শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন ভাষণে রাজ্যের মন্ত্রী এবং শিল্প পরিবেশের ভুয়সী প্রশংসা করেন সংগঠনের সভাপতি দীনেশ জালান।
—– রাহী হালদার