‘পুলিশ কাকুদের’ সাহায্যে বাড়ি ফিরল কিশোর। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া হুগলির পান্ডুয়া এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ শাহারুল হোসেন। শনিবার সকালে শাহারুল মাংস কিনতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু সকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলে গেলেও ছেলে বাড়ি না ফেরায় দুশ্চিন্তা শুরু হয় পরিবারের।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বামনি ফলসে স্নান করতে নেমে মর্মান্তিক কাণ্ড! আনন্দ ফূর্তির মাঝেই যুবক…! অযোধ্যা পাহাড়ে চাঞ্চল্য
এরপর বিভিন্ন জায়গায় ছেলের খোঁজখবর নিয়েও তার কোন সন্ধান না পাওয়ায় পান্ডুয়া থানার দ্বারস্থ হয় পরিবার। জেলা জুড়ে তল্লাশি শুরু করে হুগলির গ্রামীণ পুলিশ। অ্যালার্ট করা হয় পাশ্ববর্তী জেলা পুলিশকেও। এদিকে শাহারুল চলে আসে বর্ধমানে। বর্ধমানে আসার পর জায়গা বুঝতে না পেরে বর্ধমান স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় কর্তব্যরত এক পুলিশকর্মীকে শাহারুল জিজ্ঞাসা করে ‘পুলিশকাকু এটা কোন জায়গা?’ কর্তব্যরত পুলিশকর্মীর সন্দেহ হওয়ায় তিনি উলটে শাহারুলকে তার নাম ও ঠিকানা জিজ্ঞাসা করতেই শাহারুল পুরো ঘটনার কথা তাঁকে জানায়। এরপরই পুলিশকর্মী শাহারুলকে বর্ধমান থানায় নিয়ে আসেন।
বর্ধমান থানার তরফে যোগাযোগ করা হয় পান্ডুয়া থানায়। ছবিও পাঠানো হয় পান্ডুয়ায়। এরপর শাহারুলের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পান্ডুয়া থানা। অবশেষে শনিবার রাতে বর্ধমান থানা থেকে শাহারুলকে নিয়ে যায় পরিবার।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শাহারুলের দাদা জামিনুল রহমান জানান, ‘মাংস কিনতে যাওয়ার নাম করে শনিবার সকালেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল শাহারুল। কোনভাবে বর্ধমানে চলে আসে সে। জায়গা বুঝতে না পেরে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীর দ্বারস্থ হয় এবং তাঁর কাছেই জানতে চাই এটি কোন জায়গা। তারপরে সেই পুলিশকর্মী তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং এখান থেকে যোগাযোগ করা হয় পান্ডুয়া থানায়। পান্ডুয়া থানা আমাদের সঙে যোগাযোগ করে এবং বর্ধমানে এসে আমরা ভাইকে ফিরে পাই। কিন্তু কীভাবে সেখানে সে পৌঁছাল তা কিছুই এখনও জানতে পারিনি। ভাইকে পাওয়া গিয়েছে এতেই আমরা খুশি, ধন্যবাদ পুলিশকে’।