মেদিনীপুর শহরে রয়েছে বার্জ টাউন। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে এই বার্জ টাউনের নাম নিয়ে অনেকের মধ্যে মতবিরোধ থাকলেও এই বার্জ টাউনে থাকা আবাসন বয়ে চলে ইতিহাস। মেদিনীপুর শাসন করবার জন্য যে জেলাশাসক মেদিনীপুরে আসতেন তাঁর বাংলো হিসেবে ছিল এই ভগ্নপ্রায় আবাসনটি। অঘোষিতভাবে এখান থেকেই জেলা পরিচালনার একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হত। স্বাভাবিকভাবে এটাই হয়ে উঠেছিল জেলা কালেক্টর এর অফিস, এমনই মত ইতিহাসবিদদের। তবে কালের নিয়মে ব্রিটিশদের তৈরি এই আবাসন আজ ধ্বংসের মুখে। চারদিকে ভরে গিয়েছে আগাছায়, বেশ কিছু অংশ ভাঙতেও শুরু করেছে। তবে ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে এই ইমারত।
advertisement
আরও পড়ুন : জমকালো বাজনা, চোখ ধাঁধাঁনো রোশনাই! কাটোয়ায় জমজমাট কার্তিক লড়াইয়ের শোভাযাত্রা
কে এই বার্জ? ইতিহাসের নথি বলছে, বি ই বার্জ ছিলেন ব্রিটিশ ভারতে মেদিনীপুরে আসা এক জেলাশাসক। যিনি মেদিনীপুরের মানুষের উপর অত্যাচার চালিয়েছেন। তবে ১৯৩২ সালের সেপ্টেম্বরে অনাথবন্ধু পাঁজা এবং মৃগেন্দ্রনাথ দত্ত অত্যাচারী জেলাশাসক বার্জকে হত্যা করেন। তবে মৃত্যুর আগে বার্জটাউনের এই আবাসনেই থাকতেন বার্জ। এখান থেকেই পরিচালনা করতেন সমস্ত প্রশাসনিক কাজ। অঘোষিতভাবে তার বাংলো হয়ে উঠেছিল জেলা কালেক্টরের অফিস। তবে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এই আবাসন থেকে সামান্য কিছুটা দূরে গঠিত হয়েছে নবনির্মিত জেলাশাসক ভবন। বর্তমানে সেখান থেকেই জেলা প্রশাসনের একাধিক প্রশাসনিক কাজ পরিচালিত হয়।
তবে এককালের ইতিহাস বহন করে চলেছে এই আবাসন। এই আবাসনের নেপথ্যে রয়েছে নানা কাহিনি। নানা অত্যাচারের ষড়যন্ত্র তৈরি হয়েছিল এই আবাসন থেকেই। বর্তমানে ঝোপঝাড়, আগাছায় ভরে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবে এই আবাসন নিছকই আবাসন নয়, ইতিহাসের এক জীবন্ত দলিল।





