বিক্ষোভে অংশ নেওয়া হকারদের দাবি, অন্যায়ভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছে আরপিএফ, জরিমানা আদায় করছে। তারই প্রতিবাদে ব্যান্ডেল আরপিএফ অফিসের সামনে বিক্ষোভে সামিল হন তাঁরা।
হকার বিক্ষোভের এই ঘটনার সূত্রপাত বুধবার থেকে। ওইদিন ১৭ জন হকারকে ব্যান্ডেল স্টেশন থেকে আটক করে আরপিএফ। ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা করে প্রত্যেককে জরিমানা করা হয়। টাকা দিলে তবেই ওই হকারদের আরপিএফ ছাড়ে বলে অভিযোগ। যদিও তাঁদের জিনিসপত্র আটকে রাখার অভিযোগ আন্দোলনরত হকারদের। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এরই প্রতিবাদে ব্যান্ডেল আরপিএফ অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন হকাররা।
advertisement
আরও পড়ুন: বাড়ি ফেরাই কাল হল পরিযায়ী শ্রমিকের, মামারবাড়ি যাওয়ার সময় দুর্ঘটনায় তরুণের মৃত্যু
স্থানীয় দেবানন্দপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য পীযুষ ধর আরপিএফ অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেন। ওই তৃনমূল নেতা জানান, কয়েকশো হকার দীর্ঘদিন ধরে ট্রেনে হকারি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। চা, জল থেকে শুরু করে নানা ধরনের খাবার খুব অল্প পয়সায় বিক্রি করে কোনওরকমের সংসার চালান। এই হকারদের বিরুদ্ধে আরপিএফ এর আগেও ব্যবস্থা নিয়েছিল। সে সময় আন্দোলন হয়েছিল। তারপর কিছুদিন আরপিএফের অত্যাচার বন্ধ ছিল। আবার আরপিএফ সক্রিয় হয়ে হকারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে, তাঁদের জিনিসপত্র আটকে রাখছে। এসব বন্ধ না হলে তীব্র আন্দোলন হবে।
এদিকে ব্যান্ডেল আরপিএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত এসি কামরায় উঠে পড়ছেন হকাররা। এই নিয়ে যাত্রীরা অভিযোগ করেছে। তাই হকারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
রাহী হালদার