TRENDING:

Birbhum News: হাতের খোদাই ট্যাটুই মূক ও বধির যুবককে ফিরিয়ে দিল পরিবারের কাছে!

Last Updated:

দেড় বছর ধরে ঠিকানা রামপুরহাটের হোম, হঠাৎ মূক ও বধির যুবককে কীভাবে খুঁজে পেল পরিবার!

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বীরভূম: ১৯ মাস আগে হারিয়ে যাওয়া মুখ ও বধি যুবকks খুঁজে পেল অবশেষে তার পরিবার।তবে কীভাবে সম্ভব হল? হাতের একটি লেখায় ফিরিয়ে দিল পরিবারের কাছে!হাতে হিন্দিতে লেখা ‘সিওয়ান’।ডান হাতের এই ট্যাটুই চিনিয়ে দিল ঠিকানা। প্রসঙ্গত ১৯ মাস পর রামপুরহাটের হোম থেকে বিহারে নিজের বাড়ি ফিরছে বছর উনিশের মূক ও বধির যুবক।মঙ্গলবার হোমে বাবাকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন ওই যুবক।ছেলেকে ফিরে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে কেঁদে ফেললেন বাবাও।বাবা-ছেলের সেই মিলনদৃশ্য দেখে চোখে জল ধরে রাখতে পারেননি হোম কর্তৃপক্ষ থেকে অন্যান্য আবাসিকরা।
advertisement

আরও পড়ুন: কাঁপিয়ে আসছে…! ঘণ্টাখানেকেই তুমুল ঝড়-বৃষ্টি,দমকা হাওয়া, বজ্রপাতে ফালাফালা হবে আকাশ

জানা যায় বছর খানেক আগে বহরমপুরের চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির মাধ্যমে রামপুরহাট স্প্যাস্টিক অ্যান্ড হ্যান্ডিক্যাপ সোসাইটি হোমে ঠাঁই হয় ওই যুবকের।মুক ও বধির হওয়ায় তাঁর বাড়ি ঘর খুঁজে পাওয়া কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে।তবে যখনই বাইরে থেকে কেউ ওই হোমে আসতেন, তখনই ওই যুবক চিৎকার করে তাঁর ডান হাত বাড়িয়ে দিতেন।কিন্তু তিনি কী বলতে চাইছেন,তা বুঝতে না পেরে এড়িয়ে চলে গিয়েছেন অনেকে।এমনভাবে কেটেছে মাসের পর মাস।তবে গত রবিবার হোমের আবাসিকদের মধ্যে খাবার বিতরণ করতে ভগবান রূপে আসেন মল্লারপুরের একটি রাইস মিল মালিকের স্ত্রী মঞ্জু খৈতান।একইভাবে তাঁকে দেখে জানালা দিয়ে ডান হাত বের করে চিৎকার শুরু করেন ওই যুবক। মঞ্জু দেবী হোম কর্তৃপক্ষকে তাঁকে নীচে নামিয়ে আনার জন্য বলেন। ওই যুবক ডান হাত দেখিয়ে কিছু বলার চেষ্টা করেন।

advertisement

আরও পড়ুন: পালিয়েও শেষরক্ষা হল না… সহপাঠীকে ‘খুন’ করা পড়ুয়া আটকই হল শেষপর্যন্ত

View More

তখনই তাঁর হাতে থাকা ট্যাটুতে নজর যায় মঞ্জু দেবীর। আবাসিকের সদস্যরা জানান তার নাম সিওয়ান। কিন্তু যুবক বোঝাতে সক্ষম হয় সিওয়ান তার নাম নয় বরং তার বাড়ির ঠিকানা সিওয়ান।মঞ্জু দেবী তৎক্ষণাৎ গুগুলে সার্চ করে দেখেন সিওয়ান বিহারের একটি জেলার নাম।ওই জেলার এক ব্যবসায়ীর কাছে তাঁদের মিল থেকে চাল যায় মাঝেমধ্যে।মঞ্জু দেবীর ছেলে রাহুল খৈতানের মোবাইলে যুবকের ছবি পাঠিয়ে সেই ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বলেন।এরপরই রাহুল সিওয়ানের ওই ব্যবসায়ীকে যুবকের ছবি পাঠিয়ে খোঁজ করেন।কিছুক্ষণের মধ্যেই খবর আসে ওই যুবকের বাড়ি সিওয়ান লাগোয়া কৃষ্ণপুরা গ্রামে।তাঁর নাম আশিক আলি।

advertisement

খবর পেয়েই ছেলেকে বাড়ি নিয়ে যেতে হোমে হাজির হন বাবা আসলাম আলি মদারি।পেশায় দিনমজুর আসলাম বলেন, পাঁচ মেয়ে ও দুই ছেলের মধ্যে বড় আশিক।ছোট বেলায় ওর হাতে জেলার নাম লিখে দিয়েছিলাম। ২০২৩ সালের ১১ জুলাই থেকে ছেলে হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায়। স্থানীয় থানায় নিখোঁজের ডায়েরি, বিজ্ঞাপন, অনেকে খোঁজাখুঁজি করেও সুরাহা হয়নি।ছেলে মূক ও বধির হওয়ায় ফিরে পাওয়ার আশা কার্যতছেড়ে দিয়েছিলেন পরিবার।কিন্তু ভগবানরূপী এই ব্যবসায়ী দম্পতির কৃপায় ছেলেকে ফিরে পেলেন পরিবার। আশিককে দেখতে পাওয়ার খবর বাড়িতে ফোন করে জানাতেই খুশিতে মেতে উঠেছে গোটা পরিবার।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কলা গাছের থেকেও বড় কলার কাঁদি! ৭ ফুটের কলার কাঁদিতে ১০০০ কলা, রইল ফটো
আরও দেখুন

সৌভিক রায়

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Birbhum News: হাতের খোদাই ট্যাটুই মূক ও বধির যুবককে ফিরিয়ে দিল পরিবারের কাছে!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল