মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে 'পর্দা'! নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানো অভিনেত্রী হৈমন্তীকে নিয়ে ক্রমে রহস্য ঘনাচ্ছে। সূত্রের খবর, নিয়োগ মামলায় উঠে আসা নাম গোপাল দলপতির সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল হৈমন্তীর। পরে বিয়ে। বেশ ধূমধাম করেই হাওড়ার বাঁকসারাতে নিজেদের বাড়িতেই বিয়ে হয়েছিল হৈমন্তীর।
advertisement
বাঁকসারাতে গিয়ে খবরাখবর নিয়েই বেরিয়ে এল একের পর এক রহস্যময় তথ্য! একদিকে হৈমন্তীর পরিবারের বয়ানে যেমন ছিল চমক তেমনই পাড়া প্রতিবেশীদের তরফেও জানা যাচ্ছে হৈমন্তী ও গোপাল দলপতির রহস্যময় জীবনধারার নানা সন্দেহজনক গতিবিধির কথা। প্রতিবেদন : অমিত সরকার
প্রসঙ্গত, হাওড়ার বাঁকসারাতে চরকতলা এলাকায় বাড়ি বানিয়ে ১৯৯৩ সাল থেকে থাকতে শুরু করে গঙ্গোপাধ্যায় পরিবার। সেই সময় হৈমন্তী ও তাঁর বোন স্কুলে পড়ত। এরপরে 2011 নভেম্বরে হৈমন্তীর বিয়ে হয় গোপাল দলপতির সঙ্গে। যদিও সূত্রের খবর কয়েক বছরেই ভেঙে যায় সেই বিয়ে। তবে যাতায়াত যে ছিল তা জানা যায় আশেপাশের মানুষ-জনের কথায়।
যদিও এদিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে হৈমন্তীর মায়ের দাবি, "কোথায় হৈমন্তী জানি না। ওরা মরে গিয়েছে। মেয়ে জামাই সম্পর্কে বিশেষ কিছুই বলতে চাননি বাড়ির লোকজন। তবে অসমর্থিত সূত্রের খবর দু'দিন আগেও এই বাড়িতেই দেখা গিয়েছিল হৈমন্তীকে।
হৈমন্তীর মায়ের বক্তব্য, তাঁরা জানতেনই না গোপাল দলপতি ও হৈমন্তী কোথায় আছে। তবে মেয়ে যে অভিনয় করতেন সে কথা স্বীকার করেন মা ও পরিবারের সদস্যরা। যদিও এলাকাবাসীর সূত্রে খবর মেয়ে হৈমন্তীর ভালই যাতায়াত ছিল এই বাড়িতে। ১২ /১৩ দিন আগেই সে বাড়ি এসেছিল বলেও এলাকাবাসীর দাবি। তাঁরা এও বলছেন গতকালও এই বাড়িতেই দেখা গিয়েছে হৈমন্তীকে।
রহস্যের আরও নমুনা মেলে প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে। জানা যায় রাতের অন্ধকারে নামি দামি কোম্পানির গাড়ি থেকে হৈমন্তী নামতেন। বাড়ি ঢুকতেন এবং বেরিয়েও যেতেন রাতের অন্ধকারে। লোকজনের আড়ালে বাড়িতে ঢুকতেন গোপাল দলপতি। রাতের অন্ধকারে দামি গাড়ি এসে থামত বাড়ির সামনে। আশপাশ ফাঁকা হলে সেই গাড়ি থেকেই সকলের নজরের আড়ালে বাড়িতে ঢুকতেন গোপাল দলপতি।