এই খবরেই হাবরা, অশোকনগর-সহ গোটা জেলার ক্রীড়াপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। সাহিলের এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে তাঁর কঠোর পরিশ্রম। পেশায় অ্যাম্বুলেন্স চালক বাবা অজয় হরিজন ও মা মিঠু হরিজনের হাত ধরে মাত্র ছয় বছর বয়সে মাঠে পা রাখে সাহিল।
অশোকনগর ফুটবল কোচিং সেন্টারেই শুরু হয় ফুটবলের হাতেখড়ি। শুরু থেকেই সাহিলের প্রতিভায় মুগ্ধ হন তাঁর প্রথম কোচ সৌরজিৎ দাস ওরফে পল দা। ছাত্রের এমন সাফল্যে আবেগে ভাসছেন কোচ সৌরজিৎ দাসও। অসাধারণ গতি ও গোল করার দক্ষতা থাকায় সাহিল ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছেন জাতীয় পর্যায়ে।
advertisement
আরও পড়ুন- বর্ধমানের ‘নবাবহাট’ শুধু ‘নাম’ নয়! বর্ধমানের ইতিহাসের জীবন্ত দলিল! কারণ জানলে শিহরিত হবেন
তাঁর সতীর্থরাও এই খবরে রীতিমতো উৎসাহিত। ফুটবল প্রশিক্ষকদের মতে, এভাবে এগোতে থাকলে একদিন হয়তো ভারতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবেও দেখা যেতে পারে সাহিলকে। সাহিল জানান, ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে দেওয়ার। আজ সেই স্বপ্নপূরণের পথে প্রথম ধাপ পেরোলেন।
এখন শুধু নিজেকে প্রমাণ করার পালা। সাহিলের এই সাফল্যে আজ গর্বিত হাবরার ফুটবলপ্রেমীরা। সামাজিক মাধ্যমে শুভেচ্ছার বন্যা বইছে তাঁর নামে। সাহিলকে নিয়ে তাই আগামিদিনে বড় স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে জেলার ক্রীড়া প্রেমীমহল।
Rudra Narayan Roy