বড় আকারের তালপাখার নাম ছিল আরানি, ছোটগুলোর নাম আরবাকি। কথাই আছে শীতের কাঁথা, বর্ষার ছাতা আর গরমের পাখা -ই ছিলো বাঙালির একমাত্র সম্বল। গরমের সময় শরীরকে শীতল পরশে ডুবিয়ে দেওয়ার একমাত্র মন্ত্র ছিল হাতপাখা। শুধু তাই নয় আগের মত আর সেভাবে দেখা না গেলে ও হাতপাখা তবে বছরের একটা দিন জামাইষষ্ঠি বাঙালিরা প্রতিটা জামাইয়ের জন্য এই হাত পাখা কেন। চাহিদা নেই তবে দাম বেড়েছে কিন্তু কোনোভাবেই এই পেশাকে পরিবর্তন করতে পারছেন না এই শিল্পীরা৷
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
তার পাশাপাশি আমাদের ছোটবেলার মায়ের হাতের নাগালে শাসন করার চরম অস্ত্র, পিঠ চুলকানোর হাতিয়ার, মাছি মশা তাড়ানোর মেশিন, পুজার আচারে অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ ছিল এই হাতপাখা। আধুনিকতার এই দৌড়ে এখন গৃহস্জ্জার অঙ্গ হয়েছে । শুধু তাই নয় বড় বড় তালপাতার পাখায় সাজে হোটেল রেস্তোরা বা অনুষ্ঠানের স্খাল।তাই চিন্তায় নেই তালপাতার হাতপাখা প্রস্তুতকারীরা ৷
আরও পড়ুন১ গানেই উঠে এল টাকা, খরচের ২৪ গুণ কামাই করল হিট ছবি! আবার হিরো-হিরোইন একসঙ্গে
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর চণ্ডিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় তালপাতা দিয়ে হাতপাখা তৈরি করা হয় ৷ এখন সেখানকার শিল্পীদের দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছেতাদের কাজ কর্ম ৷ সাধারণ হাতপাখা তৈরির বরাত সেভাবে আসে না কিন্তু ডিজাইনার পাখার চাহিদা রয়েছে৷
সুমন সাহা