বর্তমান সময়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে স্কুলছুট বিষয়টি আরও বেশি করে চিন্তায় ফেলেছে স্কুল শিক্ষা দফতরকে, বলা ভাল স্কুলগুলিকে। সরকারি স্কুলে স্কুলছুটের সংখ্যা কমাতে স্কুলগুলি নানা উপায় অবলম্বন করেছে। কোথাও ট্রেনের কামরার আদলে ক্লাসরুম। কোথাও আবার ডিজিটাল ক্লাসরুম শুরু করেছি স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেরকমই একটি স্কুল হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথির নয়াপুট সুধীর কুমার হাই স্কুল। এই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বায়োমেট্রিক হাজিরা ও ট্রেনের আদলে ক্লাসরুমে আগেই তৈরি করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এবার সেই স্কুলেই অ্যাপস নির্ভর পড়াশোনা বা পাঠদানের চিন্তাভাবনা শুরু করেছে স্কুল।
advertisement
আরও পড়ুন: কবিগুরুর জন্মদিনের আগেই বাড়ির ছাদে অনবদ্য সৃষ্টি! যুবকের কর্মকাণ্ড দেখতে ছুটে আসছেন প্রতিবেশীরা
কাঁথির এই সরকারি বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো অবাক করেছে সকলকে। ছাত্রছাত্রীদের স্কুলমুখী করে তুলতে জেলার এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির এমন নজরকাড়া উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসা কুড়িয়েছে। একদিকে ছাত্র-ছাত্রীদের বায়োমেট্রিক হাজিরা ও অন্যদিকে ট্রেনের আদলে শ্রেণীকক্ষ। এবার অ্যাপস নির্ভর শিক্ষা পরীক্ষা শুরু হবে। এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বসন্তকুমার ঘোড়াই জানান, ‘ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল মুখে গড়ে তুলতে ডিজিটাল ক্লাসরুম, বায়োমেট্রিক হাজিরা এবং রেলের কামরার আদলে ক্লাসরুম তৈরি করা হয়েছিল। এবার অ্যাপসের মাধ্যমে শিক্ষাদান চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্কুল খুললেই সেই এই চিন্তাভাবনা বাস্তব রূপ দেখবে।’
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অনেক সরকারি স্কুলের পরিকাঠামো নিয়ে প্রায়শই নানা অভিযোগ করেন অভিভাবকরা। ভাঙাচোরা স্কুল বিল্ডিংয়ে যেমন বিপদের আশঙ্কা থাকে, তেমনই স্কুলে যাওয়ার প্রতি ঝোঁকও কমতে থাকে পড়ুয়াদের। এখনও একাধিক বিদ্যালয় ভবনের বেহাল দশা রয়েছে। কোন কোন স্কুল ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয়মুখী করতে নানা তৎপরতা নেয় মাঝেমধ্যেই। তবে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলমুখী করে তুলতে রাজ্যের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির এমন নজরকাড়া উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসা কুড়িয়েছে। সরকারি স্কুলে এ ধরনের শিক্ষাদান পদ্ধতি চালু করার উদ্যোগকে প্রশংসা জানিয়েছে শিক্ষামহল।
সৈকত শী





